।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: সমাজের সব শ্রেণির মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দিতে পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এই বাহিনীর মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. জাবেদ পাটোয়ারী। পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কোনো অবস্থাতেই কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না।’ বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০১৯’ উপলক্ষে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, ‘কোনো অবস্থাতেই কোনো মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়, এ ব্যাপারে কঠোর নজরদারি করতে হবে। এ জন্য আমাদের থানাকে করতে হবে সেবার কেন্দ্রবিন্দু।’
ড. জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে গণমানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করাটাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। পুলিশের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। মানুষ পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চায়, সেবা চায়। স্থিতিশীল পরিবেশ চায় আর সেবা প্রত্যাশা করে। ’
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে আইজিপি বলেন, ‘আপনাদের (পুলিশ সসদস্যদের) গণমুখী হতে হবে। ’ তিনি আরও বলেন, ‘মাদক ও অবৈধ অস্ত্র হাত ধরাধরি করে থাকে। যেখানে মাদক আছে, সেখানে অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। পুলিশের যে সব ইউনিট মাদক উদ্ধারে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে, সেসব ইউনিটি অস্ত্র উদ্ধারেও প্রথম, দ্বিতীয় হয়েছে। এতে বোঝা যায়, মাদক ও অস্ত্র হাত ধরাধরি করে থাকে। আমরা যদি এই সমাজ থেকে মাদক নির্মূল না করতে পারি, অবৈধ অস্ত্রমুক্ত করতে না পারি, তাহলে সার্থক সমাজ তৈরি করা যাবে না।’
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে কোনো অনিয়মের সঙ্গে আপস নয়: সিইসি
আইজিপি বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সনীতি গ্রহণ করে আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করেছি। ২০১৮ সালে এক লাখ ১২ হাজার মাদক সংক্রান্ত মামলায় ১ লাখ ৫০ হাজার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় আনুমানিক ১ হাজার ৬৩৯ কোটি ৭০ লাখ টাকার মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। তাই কঠোরভাবে মাদক নির্মূল অভিযান অব্যাহত রাখাসহ পুলিশি তৎপরতা আরও বৃদ্ধি করতে হবে।’
পুলিশ বাহিনীকে হুঁশিয়ার করে আইজিপি বলেন, ‘পুলিশ বাহিনীর কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে মাদকসেবন ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তাকে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিভাগীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।’
জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, ‘জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের উচ্চমাত্রায় কমেন্টের জন্য আইজিপি হিসেবে আমি গর্ববোধ করি। এ অর্জন ধরে রাখতে হলে আমাদের সবাইকে সর্বদা কাজ করে যেতে হবে।’
এর আগে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় এবং অবৈধ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারে সাহসী ভূমিকা রাখায় সারাদেশের ৫১৪ জন পুলিশ সদস্যদের আইজিপি ব্যাজ পরিয়ে দেন ড. জাবেদ পাটোয়ারী।
সারাবাংলা/এসএইচ/এমএনএইচ