Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আমি রেকর্ডের জন্য রাজনীতি করি না: প্রধানমন্ত্রী


৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৯:৩৩

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি রেকর্ডের জন্য রাজনীতি করি না। আমার বাবা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সময় আল্লাহর অশেষ কৃপায় আমরা দুই বোন প্রাণে বেঁচে যাই।

বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রশ্ন উত্তর পর্বে নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের তারকাচিহ্নিত ৪ প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি কোনোদিন চিন্তা করিনি জাতীয় রাজনীতিতে আসবে। যদিও আমি ছাত্রাবস্থাতে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। ১৯৬৭ সালে তখনকার ইন্টারমেডিয়েট গার্লস কলেজে ছাত্রী সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলাম। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি।

১৯৮১ সালে আমাকে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হলে আমি সব দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাটিয়ে ৬ বছরের নির্বাসন শেষে দেশে ফিরে আসি। তারপর গণতন্ত্র, ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নিজেকে সম্পৃক্ত করি।

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. আনোরুল আজীম (আনার)–এর অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ  নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের অন্যতম বিষয় তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের সমৃদ্ধি যুব সমাজের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে প্রণয়ন করা হয়েছে যুগোপযোগী জাতীয় যুবনীতি ২০১৭। ১১টি জেলায় নতুন যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। গত ১০ বছরে ২৪ লাখ তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

যুব সংগঠনগুলোর কাজ অনুপ্রাণিত করতে ১ হাজার ২১৯ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে। ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসুচিটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৭ পর্বে মোট ৩৭ টি জেলার ১২৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৯৮৫ যুবককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

১ লাখ ৯১ হাজার ৬৫০ জন বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংস্থায় দুই বছরের অস্থায়ী কর্মে নিযুক্ত হয়েছে। অস্থায়ী কর্মশেষে তাদের মধ্যে ৮৩ হাজার ১৪ জন আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত হয়েছে।

ঝালকাঠি-১ আসনের সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা ক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়ন অভিলক্ষ্য (এসডি জিএস) অর্জনে সুশিক্ষিত আধুনিক প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে দেশের উচ্চ শিক্ষার উন্নয়নে অগ্রাধিকার কার্যক্রম চিহ্নিত হলে সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’

সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে

আরও পড়ুন

রায় না হলে জামায়াতের বিষয়ে কিছু করতে পারি না: প্র্রধানমন্ত্রী

জাতীয় সংসদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর