Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘কারাবন্দিদের মোবাইলফোনের কথোপকথন রেকর্ড করা হবে’


৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৯:৫৫

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল (ফাইল ছবি)

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: কারাবন্দিদের মোবাইলফোনে কথোপকথন মনিটরিংয়ের জন্য একটি নীতিমালা তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, ‘কারাবন্দিদের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে মোবাইলফোনে কথোপকথন রেকর্ড করা হবে।  এসব মনিটরিং করবে সিনিয়র জেল সুপার/জেল সুপারের নেতৃত্বে ৬ সদস্যর একটি কমিটি।  বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর-পর্বে তিনি এই তথ্য জানান।

বিজ্ঞাপন

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গি, টপটেরর ও বিভিন্ন আলোচিত মামলার স্পর্শকাতর বন্দিদের এ সুবিধার বাইরে রাখা হবে।  এ কারণে কারাগার থেকে মোবাইলফোনে অপরাধে মদত দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না।’

চট্টগ্রাম-৪ আসনের দিদারুল আলমের প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে কারাবন্দিদের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার পাইলট প্রকল্প টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে শুরু হয়েছে।’

টেলিফোনে কথা বলার কার্যক্রম অন্যান্য কারাগারে চালু করার জন্য ‘দেশের সকল কারাগারে প্রিজন লিংক স্থাপন’ শিরোনামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে বলেওে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এদিকে, জামালপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ‘১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যার কক্ষটি ঐতিহাসিক সাক্ষ্য হিসেবে রাখার জন্য সংস্কার ও রক্ষাণাবেক্ষণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার এর ইতিহাস,ঐতিহাসিক ভবন সংরক্ষণ ও পারিপার্শ্বিক উন্নয়ন শিরোনামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।  ওই প্রকল্পের আওতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান করা স্মৃতি জাদুঘর ও জাতীয় চার নেতা কারা স্মৃতি জাদুঘরের সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা হবে। ’

বিজ্ঞাপন

প্রকল্পটি গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর একনেকে অনুমোদন হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘একই বছরের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন।  বর্তমানে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ চলছে। ’

এদিকে, আগামী ৫ বছরে আরও ৫০ হাজার পুলিশ নিয়োগ দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

নেত্রকোনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামো সংস্কারের লক্ষ্যে জনবল বৃদ্ধির বিষয়টি পরিকল্পনায় রয়েছে। গত ২০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে আগামী ৫ বছরে পুলিশের জনবল পর্যাক্রমে আরও ৫০ হাজার বৃদ্ধির বিষয়ে মত প্রকাশ করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে বর্তমান সরকারের পূর্ববর্তী দুই মেয়াদে অর্থাৎ (২০০৯-২০১৩) বাংলাদেশ পুলিশে বিভিন্ন পদবির মোট ৩৩ হাজার ১০২টি পদ সৃজন করা হযেছে।  পরবর্তী দ্বিতীয় মেয়াদে অর্থাৎ (২০১৪-২০১৮) বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ৫০ হাজার পদ সৃজনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  ৫০ হাজার পদের মধ্যে পুলিশের বিদ্যমান বিভিন্ন ইউনিটের কাঠামো সংস্কারসহ বিভিন্ন পদবির মোট ৪৮ হাজার ২৯৯টি পদ সৃজন সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে সুন্দরবনের সৌন্দর্য ও সম্পদরক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

ফেনী-২ আসনের সদস্য নিজামউদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশের দক্ষিণ অঞ্চলে অবস্থিত সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সম্পদ রক্ষায় জলদস্যু/বনদস্যুদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। অভিযানকালে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ’

চট্টগ্রাম-৩ আসনের মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ‘বর্তমানে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সনীতি গ্রহণ করা হয়েছে।’ সে নীতি বাস্তবায়নে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব ও কোস্টগার্ডসহ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা মাদক আপরাধ নিয়ন্ত্রণে নিরলসভাবে কাজ করছে বলেও তিনি জানান।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমএনএইচ

কারাবন্দি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর