মার্কিন সেনা প্রত্যাহার নিয়ে তালিবান নেতাদের ভিন্নমত
৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৩:৩৩
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
দুই মাসের মধ্যে আফগানিস্তান ত্যাগ করবে সেখানে মোতায়েন অর্ধেক মার্কিন সেনা। বুধবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) এমনটা জানিয়েছেন শীর্ষ তালিবান নেতা আব্দুল সালাম হানাফি। রুশ রাজধানী মস্কোতে তালিবান ও শীর্ষ আফগান নেতাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনার ফাঁকে একথা বলেন তিনি। খবর আল জাজিরার।
তবে হানাফির দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন, মস্কোতে শান্তি আলোচনায় তালিবান প্রতিনিধি দলের প্রধান শের মোহাম্মদ আব্বাস স্তানিজাকি। তিনি বলেছেন, সেনা প্রত্যাহারের কোন সময়সীমা এখনো ঠিক করা হয়নি।
সময়সীমা ঠিক করা হয়নি
হানাফি বলেন, চলতি মাস থেকেই সেনা প্রত্যাহার শুরু প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি বলেন, আমেরিকানরা আমাদের বলেছে যে, ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলের শেষের মধ্যে আফগানিস্তানে মোতায়েন সেনার অর্ধেক প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
কিন্তু তার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন স্তানিজাকি ও যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল রব ম্যানিং বলেন, মার্কিন সামরিক বাহিনী এখনো পর্যন্ত আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের কোন নির্দেশনা পায়নি।
তিনি বলেন, তালিবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা চলছে। কিন্তু প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আফগানিস্তানে মোতায়েন সেনাদের গঠনে কোন পরিবর্তন আনার নির্দেশ পায়নি।
এমনকি কাবুলে নিযুক্ত মার্কিন সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রও জানিয়েছেন, তাৎক্ষণিকভাবে সেনা প্রত্যাহারের কোন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া থেকে রক্ষা করতে সব পক্ষ যদি প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেয় তাহলে আমরা এখানে অবস্থানরত সামরিক বাহিনীর কাঠামোতে পরিবর্তন আনার বিষয়ে ইচ্ছুক।
শান্তি আলোচনা
মস্কোতে দ্বিতীয় দিনের মতো শান্তি আলোচনায় বসেছে তালিবান ও প্রভাবশালী আফগান নেতারা। কিন্তু বৈঠকে আফগান সরকারের কোন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।
বৈঠক শেষে এক বিরল ঘটনায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন স্তানিজাকি।
তিনি বলেন, বৈঠকটি খুবই সফল হয়েছে। আমরা অনেক বিষয়ে একমত হয়েছি। আমি আশাবাদী যে ভবিষ্যতে আমরা আরও সফলতা অর্জন করতে পারবো এবং চূড়ান্তভাবে কোন সমাধানে পৌঁছাতে পারবো। আমরা আফগানিস্তানে পুরোপুরি শান্তি প্রতিষ্ঠা করবো।
সারাবাংলা/ আরএ