Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ক্ষুদ্র অর্থায়ন সংস্থাগুলোতে সংস্কার আনা হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী


৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৪:৫০

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: দেশের ক্ষুদ্র অর্থায়ন সংস্থাগুলোতে সংস্কার আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, দেশের ক্ষুদ্র অর্থায়ন সংস্থাগুলো দারিদ্র বিমোচনে কম বেশি অবদান রাখছে। তাই, এখানে সংস্কার আনতে হবে। যাতে এই খাত থেকে মানুষ প্রকৃত সুফল পেতে পারে।

বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস (এসডিজি) অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন অর্জন ও বাস্তবায়নে ক্ষুদ্র অর্থায়ন সংস্থা সমূহের ভূমিকা শীর্ষক এক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউট অব ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট ( আইএনএম) এর নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা কে মুজেরী । উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ডঃ আতিউর রহমান, এমআরএ‘র এক্সকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু মুখার্জী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ডক্টর সাজ্জাদ জহির, শক্তি ফাউন্ডেশন ফর ডিসএ্যাডভান্টেজড উইমেন এর নির্বাহী পরিচালক ডঃ হুমাইরা ইসলাম, ক্রেডিটন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম ( সিডিএফ) এর নির্বাহী পরিচালক আব্দুল আউয়াল, পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ইকবাল আহমদ প্রমুখ।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমরা এসডিজি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, স্যানিটেশন, গ্রামীণ অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন কে না চাই। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে। দেশের জিডিপি বাড়ছে, মানুষের মাথাপিছু আয় বাড়ছে। এসব ইতিবাচক পরিবর্তনগুলো ধরে রাখতে হবে।

বিজ্ঞাপন

এমএ মান্নান বলেন, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি (এমআরএ) সংস্কার করা হবে। শুধু নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রেগুলেটর নয়, নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সেবা দেওয়াটাও নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের দেশে অনেক বেশি রেগুলেটর আছে। এইসব রেগুলেটরগুলোকেও সংস্কার করতে হবে। তিনি বলেন, অনেক সময় বলা হয় ক্ষুদ্র অর্থায়ন সংস্থাগুলো ঋণ আদায়ে গরীব মানুষের টিনের চাল খুলে নিচ্ছে কিংবা হয়বানি করছে এই ধরনের সংবাদ মাঝে মাঝে আসে। তবে এই সংখ্যা খুবই কম। আমরা এই খাতটি নিয়ে ভাবছি আরো কি করা যায়।

তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়নের কৌশলে সফলতা এসেছে। গত ১০ বছরে দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। যার সুফল জনগণ পেতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়নের গতি আরো বাড়াতে হবে।

ড. অতিউর রহমান বলেন, দেশের দারিদ্র বিমোচন ও গ্রামীন আর্থসামাজিক উন্নয়নে ক্ষুদ্র অর্থায়ন সংস্থাগুলো অবদান রাখছে। এই সংস্থাগুলোকে প্রয়োজনীয় সাপোর্ট দিলে তারা আরো বেশি অবদান রাখতে পারবে।

ড. হুমাইরা ইসলাম বলেন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। জিডিপিতে গার্মেন্টস শিল্পের পাশাপাশি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অবদান কম নয়।

সারাবাংলা/জিএস/জেএএম

ক্ষুদ্র ঋণ পরিকল্পনামন্ত্রী

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ইনজুরিতে মৌসুম শেষ রদ্রির
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:২৮

সম্পর্কিত খবর