পাসপোর্ট অফিসে দুর্নীতি উদঘাটন, ৭ জেলায় দুদকের অভিযান
৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৫:১৩
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: পাসপোর্ট অফিস ঘিরে ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে দালালরা কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে সিন্ডিকেট তৈরি করেছে, দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে একযোগে দেশের সাতটি জেলার পাসপোর্ট অফিসে আকস্মিক অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য।
তিনি জানান, মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরীর নির্দেশে ৭টি শক্তিশালী এনফোর্সমেন্ট টিম গঠন করে দিনাজপুর, বরিশাল, কুমিল্লা, টাঙ্গাইল, সিলেট, মেহেরপুর ও মুন্সিগঞ্জ জেলায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ অভিযান প্রসঙ্গে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘পাসপোর্ট অফিসের দুর্নীতি ও হয়রানি বন্ধে দুদকের এ অভিযান। দুর্নীতির প্রমাণের ভিত্তিতে দুদক সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।’ অভিযানকালে মেহেরপুর, মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা এবং দিনাজপুরে মোট ৪ জন দালালকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে দুদক টিম। দালালদের সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিকট সোপর্দ করা হয়। তাদের জরিমানা ও বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, মুন্সীগঞ্জে অভিযান পরিচালনাকালে পরিলক্ষিত হয়, উক্ত দপ্তরের সহকারী পরিচালক হালিমা খাতুন গত এক মাস যাবত হাজিরা খাতা যাচাই করছেন না। এছাড়াও, তার অফিসে সাধারণ পাসপোর্টের ক্ষেত্রে মূল ফি’র অতিরিক্ত ১৫০০ টাকা এবং জরুরী পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে ৪০০০ টাকা অতিরিক্ত ফি দিতে হয়। এ ঘুষ না দিলে ইচ্ছাকৃতভাবে পাসপোর্টে বিভিন্ন ধরণের ত্রুটির সৃষ্টি করা হচ্ছে।
সিলেট পাসপোর্ট অফিসে অভিযানে দেখা যায়, বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তার সাথে যোগসাজশ করে দালাল চক্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। টাঙ্গাইল পাসপোর্ট অফিসে দালালরা বিভিন্ন শ্রেণীর গ্রাহকদের নিকট হতে বিভিন্ন মাত্রায় ঘুষ আদায় করছেন বলে দুদক টিম প্রমাণ পায়। এ অফিসে ৫০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে।
এদিকে বরিশাল পাসপোর্ট অফিসে পুলিশ সদস্যরা দালাল সেজে গ্রাহকদের নিকট হতে টাকা আদায় করছে বলে প্রমাণ পায় দুদক টিম। এছাড়াও কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিসে ০৪ জন কর্মকর্তাকে অনুপস্থিত পায় দুদক টিম।
সারাবাংলা/এসজে/জেএএম