ভেজাল ওষুধে শিশুমৃত্যু: পলিক্যামের পরিচালকের কারাদণ্ড, খালাস ৩
৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৬:৫৮
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: ভেজাল প্যারাসিটামল খেয়ে শিশুমৃত্যুর অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মেসার্স পলিক্যাম ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের পরিচালক আব্দুর রবের এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি এই মামলার অভিযুক্ত অন্য দুই ফার্মাসিস্ট ও ম্যানেজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার ড্রাগ আদালতের বিচারক সৈয়দ কামাল হোসেন এ রায় দেন।
খালাস প্রাপ্তরা হলেন প্রতিষ্ঠানটির ফার্মাসিস্ট মাহবুবুল আলম ও মো. দেলোয়ার হোসেন এবং ম্যানেজার এএসএম গোলাম কাদের।
রায় ঘোষণার পর কারা দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ওই আসামির পক্ষে আপিলের শর্তে আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
মামলাটিতে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুন অর রশিদও আসামি ছিলেন। কিন্তু তিনি বিচাল চলার সময় মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৯২ সালের ১৯ ডিসেম্বর পলিক্যাম ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড ভেজাল প্যারাসিটামলে শিশুমৃত্যুর অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন তৎকালীন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের তত্ত্বাবধায়ক মো. আবুল খায়ের চৌধুরী।
মামলাটির অভিযোগে বলা হয়, শেরেবাংলানগর শিশু হাসপাতালে প্যারাসিটামল সেবনে করে অনেক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে দেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয় যে।
ওই খবরের ভিত্তিতে ১৯৯২ বছরের ২৩ নম্বর পলিক্যাম ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের কামরাঙ্গীচরস্থ কারখানায় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর অভিযান চালিয়ে প্যারাসিটালের স্যাম্পুল সংগ্রহ করেন। পরে পরীক্ষায় প্যারাসিটামলের মধ্যে ক্ষতিকর ডাইইথিলিন গ্লাইকল পাওয়ায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
১৯৯৩ সালের ৬ মার্চে মামলাটিতে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। চার্জগঠনের আদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা উচ্চআদালতে আপিল করায় প্রায় ২০ বছর মামলার বিচারকাজ স্থগিত ছিল।
এরপরও ২০১৫ সালের মামলার বিচারকাজ শুরু করেন। এই মামলায় তিন জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করলেন।
সারাবাংলা/এআই/এমএনএইচ