গুগল-ফেসবুকের রাজস্ব ফাঁকির রিপোর্ট না পাওয়ায় হাইকোর্টের অসন্তোষ
৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২০:২৮
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: সার্চ ইঞ্জিন গুগল, ভিডিও স্ট্রিমিং সাইট ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ ইন্টারনেটভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকির তদন্ত শুরু না করায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-এর ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
এ সময় আদালত আগামী ৭ মার্চের মধ্যে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন। ওই তারিখের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া হবে বলেও আদালত জানিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে রিটকারী আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব সারাবাংলাকে বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আজ গুগল ও ফেসবুকসহ ইন্টারনেটভিত্তিক সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকির তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের দিন ঠিক করা ছিল। কিন্তু আজ কোনো প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি। এ কারণে আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আগামী ৭ মার্চ প্রতিবেদন দাখিল না করলে আদালত ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানিয়েছেন। ’
আদালতের নির্দেশে কমিটি গঠন হয়েছে কি না, জানতে চাইলে আইনজীবী বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে এনবিআরের একজন সদস্যকে আহ্বায়ক করে ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু কমিটি তদন্ত শুরু করেছে কি না, সে বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।’
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১৮ এপ্রিল সার্চ ইঞ্জিন গুগল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ ইন্টারনেটভিত্তিক সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব ফাঁকির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এছাড়া ইন্টারনেটভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন, ডোমেইন বিক্রি ও বিভিন্ন ধরনের লাইসেন্স বিক্রির ফিসহ যেকোনো লেনদেনের বিপরীতে যে পরিমাণ টাকা পরিশোধ করা হয়, তার থেকে আদায়যোগ্য রাজস্ব সংগ্রহ করতে বলা হয়।
পাশাপাশি ইন্টারনেট ভিত্তিক কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় রাজস্ব আদায়ের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারিও করেন হাইকোর্ট।
এরআগে, ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল সার্চ ইঞ্জিন গুগল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ ইন্টারনেটভিত্তিক সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব ফাঁকির বিরুদ্ধে রিটটি দায়ের করা হয়।
সারাবাংলা/ এজেডকে/এমএনএইচ