সৌদি কর্মকর্তারাই খাশোগিকে হত্যা করেছে: জাতিসংঘ
৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৩:৫৪
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
সৌদি সাংবাদিক ও লেখক জামাল খাশোগিকে নির্মমভাবে হত্যার পরিকল্পনা ও হত্যা করেছে সৌদি আরবের সরকারি কর্মকর্তারা। বিভিন্ন প্রমাণের ভিত্তিতে এ কথা জানিয়েছে হত্যাকাণ্ডটি নিয়ে চলমান আন্তর্জাতিক তদন্তের প্রধান জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক তদন্তকারীরা। খবর আল জাজিরার।
জাতিসংঘের স্পেশাল র্যাপোর্টার আগ্নেস ক্যালামার্ড বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বলেন, তার তিন সদস্যের দল তুর্কি গোয়েন্দাদের কাছ থেকে খাশোগি হত্যাকাণ্ডের চাঞ্চল্যকর ও নৃশংস অডিওর অংশবিশেষ শুনেছে।
এদিকে জাতিসংঘ বলেছে, ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসে খাশোগির হত্যাকাণ্ড নিয়ে তুরস্কের তদন্ত গুরুতরভাবে ঠেকাতে চেয়েছে সৌদি আরব।
ক্যালামার্ড বলেন, তুর্কি তদন্তকারীদের ঘটনাটি নিয়ে একটি পেশাদার ও কার্যকর তদন্ত করার জন্য ঘটনাস্থল পরীক্ষণ ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে নির্ধারিত তল্লাসি অভিযান চালাতে অত্যন্ত অপর্যাপ্ত সময়ের প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়েছে।
ক্যালামার্ট তিন সপ্তাহ ধরে তার দল ও তুর্কি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে খাশোগি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করেছেন। তদন্তের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় তিনি বলেন, সৌদি আরবে প্রবেশাধিকার চেয়েছেন তিনি।
এছাড়া তিনি, সৌদি আরবে এই ঘটনায় ১১ ব্যক্তির বিরুদ্ধে চলমান বিচারকার্যের ন্যায্যতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
আগামী জুন মাসের মধ্যে তদন্ত নিয়ে একটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন ক্যালামার্ড।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসে খুন হন খাশোগি। তিনি ওয়াশিংটন পোস্টের জন্য কলাম লিখতেন। বিশেষ করে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের তীব্র সমালোচনাকারী ছিলেন খাশোগি। মোহাম্মদ ক্রাউন প্রিন্স ঘোষিত হওয়ার পরই যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসনে যান খাশোগি। গত অক্টোবরে নতুন বিয়ের জন্য কাগজপত্র আনতে ইস্তাম্বুলে যান তিনি। এখনো তার মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
মার্কিন গোয়েন্দাদের বিশ্বাস, তার হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন মোহাম্মদ বিন সালমান। কিন্তু সৌদি আরব এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ও বলেছে এক শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা তার নিজ ইচ্ছায় এই হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করেছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ক্রাউন প্রিন্সের কোন সম্পর্ক ছিল না।
সারাবাংলা/আরএ