কর্ণফুলীর পাড়ে উচ্ছেদ অভিযানের প্রথম পর্যায় শেষ
৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২১:৫৭
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: টানা পাঁচদিন অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর পাড় থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের প্রথম পর্যায়ের কার্যক্রম শেষ করেছে জেলা প্রশাসন। অভিযানে ২৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে ১০ কিলোমিটারেরও বেশি ভূমি দখলমুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
পরবর্তী পর্যায়ের উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করতে আগামী রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি দফতরের সঙ্গে সমন্বয় সভায় বসবে।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি নগরীর সদরঘাট থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়। শুক্রবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) নগরীর বারিক বিল্ডিং মোড়ে গিয়ে এই কার্যক্রমের সমাপ্তি টানা হয়েছে। শনিবার থেকে স্থাপনা উচ্ছেদের ফলে জমা আবর্জনা অপসারণের কাজ শুরু করবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান মুক্ত এবং তৌহিদুর ইসলাম এই অভিযান পরিচালনা করেছেন।
তাহমিলুর রহমান মুক্ত সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, গত পাঁচদিনের অভিযানে ২৩০টি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ১০ কিলোমিটারের বেশি ভূমি উদ্ধার করেছি। চারটি স্থাপনা আছে যেগুলো নিয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন। সেগুলোর বিষয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয় হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দেবেন। হাইকোর্ট যেভাবে নির্দেশনা দেবেন, সেভাবে কাজ হবে।
পাঁচদিনের অভিযানে বড় কোন চাপের সম্মুখীন হতে হয়নি জানিয়ে তাহমিলুর রহমান মুক্ত বলেন, ‘সব সংস্থার মধ্যে চকৎকার সমন্বয়ের মাধ্যমে সুন্দরভাবে প্রথম ধাপের উচ্ছেদ অভিযান শেষ করতে পেরেছি।’
দ্বিতীয় ধাপে কর্ণফুলী নদীপাড়ের কোন এলাকা থেকে উচ্ছেদ শুরু হবে সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে নগরীর বারিক বিল্ডিং মোড় থেকে পতেঙ্গা এবং সদরঘাট থেকে চাক্তাই পর্যন্ত দুটি এলাকা চিহ্নিত করে রেখেছে জেলা প্রশাসন।
তাহমিলুর রহমান মুক্ত সারাবাংলাকে বলেন, সমন্বয় সভায় সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু করব।
উচ্ছেদ অভিযানে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, সিডিএ, ফায়ার সার্ভিস, কণর্ফুলী গ্যাস কর্তৃপক্ষ, বিআইডব্লিউটিএ, র্যাব-পুলিশ। এছাড়া জেলা প্রশাসনের নিযুক্ত ১০০ জন শ্রমিক উচ্ছেদ অভিযানে কাজ করছে।
হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৫ সালের জরিপে কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়ে ২১১২টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। গত তিন বছরে স্থাপনা আরও বেড়েছে বলে ধারণা জেলা প্রশাসনের।
সারাবাংলা/আরডি/এনএইচ