৯ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে ১২ হাজার মেগাওয়াট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

আওয়ামী লীগ সরকারের ৯ বছর মেয়াদে দেশে ১১ হাজার ৮ শ মেগাওয়াট বিদ্যুতের উৎপাদন বেড়েছে বলে জানিয়েছেন, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বুধবার সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের (এসপিআইপিএল) একটি প্রতিনিধি দল জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি এ তথ্য জানান।

এ সময় এসপিআইপিএল-এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান, ইন্ডিপেনডেন্ট ডিরেক্টর লিম হুই হুয়া, ট্যাং কিন ফ্যাই, ক্যাসপার ব্লাসি জোহানসেন, মোহাম্মদ লতিফ খান ও হেড অব অ্যাডমিন জাওয়াদ-উল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় স্পিকার বলেন, ‘২০০৮-২০০৯ সালে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাত অনেক শোচনীয় অবস্থায় ছিল। তখন বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল মাত্র ৩২০০ মেগাওয়াট। ইতোমধ্যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও কার্যকরী পদক্ষেপের কারণে বর্তমানে ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকার বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধিতে যথেষ্ট মনযোগী।’

দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনে সামিট গ্রুপের অবদান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর ফলে আর্থ-সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতি লাভ করছে। বর্তমান সরকার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে  অতি দারিদ্রের হার ২৩ শতাংশে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।’

এ সময় আব্দুল্লাহ বিন তারমুগি বলেন, বাংলাদেশের অবকাঠামোগত ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন লক্ষ্যণীয়। বিদ্যুৎখাতে উন্নয়নের কারণে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সন্তোষজনক মাত্রায় স্থিতিশীল রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ, প্রাকৃতিক তরল গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল, ফাইবার অপটিক ও আর্ন্তজাতিক মানসম্মত সমুদ্র বন্দর স্থাপন এবং উন্নয়নে সামিট গ্রুপ কাজ করে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ ও এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জিত হলে বাংলাদেশ দ্রুত মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।

এ প্রেক্ষিতে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ২০৩০ পূরণে পথে যাচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ পরিপূর্ণভাবে ডিজিটাল ও মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে এবং ২০৪১ সালে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।

সারাবাংলা/এইচএ/এমআই