সারাদেশে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন চলছে
৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১০:০৬
।।স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: দেশের আড়াই কোটি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোট ১ লাখ ২০ হাজার কেন্দ্র থেকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ছাত্র-শিক্ষকসহ সবার সার্বিক সহযোগিতায় সারাদেশে এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভিটামিন এ ক্যাপসুল: রাতকানা রোগ কমে দশমিক ০৪ শতাংশ
ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রগুলো বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট, ব্রিজের টোল প্লাজা, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, খেয়াঘাটে অবস্থান করছে। প্রতিটি কেন্দ্রে কমপক্ষে ২ জন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া দুর্গম এলাকা হিসেবে চিহ্নিত ১২টি জেলার ৪৬টি উপজেলার ২৪০টি ইউনিয়নে ক্যাম্পেইন পরবর্তী ৪ দিন (১০-১৩ ফেব্রুয়ারি) বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিশুদের সার্চিং কার্যক্রম পরিচালনা করে বাদ পড়া শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াবে।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি ভিটামিন এ ক্যাম্পেইন শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই তা স্থগিত করা হয়। ক্যাম্পেইন সংশ্লিষ্টদের মতে, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠা, ক্যাপসুলের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার অভাব, ক্যাপসুলে ছত্রাকের বিস্তার ও শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি— এই চার কারণ বিবেচনায় নিয়ে ক্যাম্পেইনটি স্থগিত করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মজুদ থাকা দেশীয় ওষুধে এবার ‘ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন’
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান সে সময় জানিয়েছিলেন, ক্যাপসুলের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন স্থগিত করা হয়েছে। আদালতে মামলা করে ভারতীয় এক অখ্যাত কোম্পানি নিম্নমানের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল কিনতে আমাদের বাধ্য করেছে।
ডা. মুরাদ হাসান বলেন, লাল ক্যাপসুল নিয়ে কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব ক্যাপসুল একটার সঙ্গে আরেকটার সঙ্গে লেগে আছে। আলাদা করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেন এ রকম হলো, পরীক্ষার পর তা বলা যাবে। তবে দেশীয় কোম্পানি থেকে কেনা সবুজ রঙের ট্যাবলেটে কোনো সমস্যা নেই।
প্রসঙ্গত, ভিটামিন এ এর ঘাটতি হলে রাতকানা রোগ হয়। এই রোগ মুক্তি ছাড়াও, এই ভিটামিন শরীরের অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা কমিয়ে শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। তাই ভিটামিন এ এর অভাবজনিত সমস্যা প্রতিরোধে সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় পুষ্টি সেবা, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান বছরে দুইবার জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন করে। এ বছর ক্যাম্পেইনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ভিটামিন এ খাওয়ান, শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমান’
সারাবাংলা/জেএ/এমএইচ