ব্রেক্সিট চুক্তি পরিবর্তনে এমপিদের কাছে সময় চাইবেন মে
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৫:৪০
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
নর্দার্ন আইরিশ ব্যাকস্টপসহ আপত্তিকর ইস্যু মীমাংসায় পার্লামেন্ট সদস্যদের কাছে বাড়তি সময় চাইবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে। রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।
চলতি সপ্তাহে এমপিদের কাছে তার সংশোধিত ব্রেক্সিট রিপোর্ট পেশ করবেন মে। সমঝোতা না হলে তিনি পুনরায় চুক্তির সংশোধনীর জন্য সময় চাইতে পারেন।
ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত ব্রেক্সিট চুক্তির সুরাহা না হলে বিকল্প প্রস্তাবে ভোটের আয়োজন আশা করছেন পার্লামেন্ট সদস্যরা। তবে এমপিদের অনেকে অভিযোগ করছেন প্রধানমন্ত্রী মে সময়ক্ষেপণ করছেন যাতে তার প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট ডিল ও নো ডিল ব্রেক্সিটের বাইরে কোন সুযোগ না থাকে।
উল্লেখ্য, ব্রেক্সিট কার্যকরে ৫০ দিনেরও কম সময় রয়েছে। যুক্তরাজ্য আগামী ২৯ মার্চ ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাবে। তবে ইইউর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ভবিষ্যৎ সম্পর্কের আইনি কাঠামো বিশেষ করে ‘আইরিশ ব্যাকস্টপ’ নিয়ে মতৈক্য রয়ে গেছে। ব্রিটিশ এমপিদের আপত্তি নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ও রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ড সীমান্তে প্রস্তাবিত ব্যাকস্টপ পলিসি নিয়ে। স্পর্শকাতর এই সীমান্তে কঠোর না হতে ইইউ ও ব্রিটেন একমত হলেও তা বাস্তবায়নের কৌশল নিয়ে দ্বিধা রয়ে গেছে।
যুক্তরাজ্যে ইইউ থেকে বেরিয়ে গেলে তারা ইউরোপের সিঙ্গেল মার্কেট কাঠামোয় আর অন্তর্ভুক্ত থাকবে না। তাই ইউরোপীয় স্ট্যান্ডার্ড নিশ্চিত করতে সীমান্তে যাচাই-বাছাইয়ের মুখোমুখি হওয়ার কথা যুক্তরাজ্যের। চুক্তি অনুসারে এক্ষেত্রে কার্যকর হবে সেফটি নেট হিসেবে পরিচিত ব্যাকস্টপ পলিসি। অর্থাৎ দুপক্ষের মধ্যে নতুন কোন বাণিজ্য চুক্তির সমঝোতা না হলে শুধুমাত্র নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ইইউর সিঙ্গেল মার্কেট সুবিধা পাবে এবং নিরাপত্তার অংশীদার হবে। তবে ব্রিটিশ এমপিরা আশঙ্কা করছেন, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ইস্যুতে যুক্তরাজ্যকে জিম্মি করবে ইইউ।
সারাবাংলা/এনএইচ