‘চলতি অধিবেশনেই আইন সংশোধন, মাদক মামলা ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি’
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৯:০২
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: মাদকের মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংসদের চলতি অধিবেশনেই আইন সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন একটি রায়ে মাদকের মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশনা দিয়েছেন। সেটা করতে হলে আইনে কিছু সংশোধনী আনতে হবে। সেটাকে সামনে রেখে আমরা এই অধিবেশনেই আইনের সংশোধনী উপস্থাপন করব।
রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন- ‘সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের নকলনবিশরা যাচ্ছেন রাজস্ব খাতে’
আইনমন্ত্রী বলেন, মাদক একটা ব্যাধি, এটাকে নির্মূল করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ বিষয়ে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর সেই ঘোষণা মনে রেখে আমরা মাদকের মামলাগুলো যে মুহূর্তে তদন্ত শেষ করে আদালতে আসছে, আমরা মামলা শুরু করে দেওয়ার চেষ্টা করছি। শুধু তাই নয়, মামলা শুরু করে সাক্ষী-সাবুদ দিয়ে দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য চেষ্টা করছি।
মন্ত্রী বলেন, মাদকের মামলা ছয় মাসের মধ্যে শেষ করতে হাইকোর্টের যে নির্দেশনা, তা বাস্তবায়নে প্রচলিত আইনের কিছু সংশোধনী প্রয়োজন। সেই সংশোধনী এই অধিবেশনের মধ্যেই আমরা এখানে উপস্থাপন করব।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, সাক্ষী না আসার কারণে অনেক সময় নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা এগিয়ে যেতে পারে না। সে বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সাক্ষীকে কিভাবে উপস্থিত করা যায় বা তারা যেন হুমকির মুখে না পড়ে, সেগুলো নিশ্চিত করে দ্রুত মামলাগুলো চালানোর ব্যবস্থা নিচ্ছি। এখন এগুলো কিছুটা ফল দিচ্ছে।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শহিদুজ্জামান সরকার ও মো. ইসরাফিল আলমের পৃথক দু’টি সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, পুরনো মামলাগুলো, বিশেষ করে যেগুলো ৩০ বছর জমে ছিল, সেগুলোকে আগে যেন শেষ করা হয়। যে সমস্যার কথা বলছেন, এটি ঠিক, ব্চিার বিভাগের এ সমস্যা অনেক আগের। এখন পরিস্থিতি বদলাচ্ছে, দ্রুত না হলেও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, যেন এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হয় এবং নতুন মামলাগুলোও যেন তাড়াতাড়ি নিষ্পত্তি হয়ে যায়।
এম আবদুল লতিফের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, মামলা দ্রুত বিচার ও নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে অন্যতম একটি প্রতিবন্ধকতা হলো এজলাস সংকট। এজলাস স্বল্পতা দূর করে সর্বোচ্চ কর্মঘণ্টা ব্যবহার করে বিচার কাজে গতিশীলতা আনতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। দেশের ৬৪ জেলা সদরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণ (প্রথম পর্যায়, দ্বিতীয় সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে ৩৮টি জেলায় ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৪টি জেলায় সম্পূর্ণ ভবন নির্মাণ শেষে বিচারিক কার্যক্রম চলছে। বাকি ১৪টি জেলার নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর