‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে’
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:১৭
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের জন্য বিশ্বব্যাংকের বিদায়ী আবাসিক পরিচালক কিমিয়াও ফ্যান।
রবিবার (১০ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার জাতীয় সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে এ আশ্বাস দেন তিনি। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বিশ্বব্যাংকের আবাসিক পরিচালক গত এক দশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অসাধারণ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভুয়সী প্রশংসা করেন।
মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে ঘনবসতির দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ অসাধারণ আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি অর্জনের কথা তুলে ধরেন এবং দারিদ্র্যবিমোচনে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন বিদায়ী আবাসিক পরিচালক।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও কথা কলেন কিমিয়াও ফ্যান।
সরকারের টানা মেয়াদে দেশের উন্নয়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫-এর পর এ দেশের উন্নয়ন সামরিক শাসকদের হাতে চরমভাবে অবহেলিত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। আমাদের সরকার তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন এবং মৌলিক চাহিদা পূরণের মাধ্যমে জনগণের ভাগ্য উন্নয়ন নিরলসভাবে কাজ করছে।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের প্রতি তার সরকারের অঙ্গিকার সামগ্রিক। আমরা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করতে চাই।’
বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়ন তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎখাতেও বিরাট অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হওয়া।’
শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারের অগ্রগতি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাংকের আবাসিক পরিচালককে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে তিনি কিভাবে মায়েদের প্রণোদনার মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করেছেন সে বিষয়েও অবহিত করেন।
এছাড়াও বেসরকারি খাতের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তার সরকার বেসরকারি খাতে সকল ক্ষেত্র উন্মুক্ত করে দিয়েছে বলেও অবহিত করেন বিদায়ী আবাসিক প্রতিনিধিকে। বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এনআর/টিএস