অরিত্রীর আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার প্রতিবেদন ১৮ মার্চ
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১২:৩৯
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ১৮ মার্চ দিন ঠিক করেছেন আদালত।
সোমবার ( ১১ ফেব্রুয়ারি) মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এ দিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি এ জন্য ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ দিন ঠিক করেন।
এ মামলায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখাপ্রধান জিন্নাত আরা ও শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পর ২০১৮ সালের ৫ নভেম্বর শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপরে গত ৯ ডিসেম্বর জামিন পান হাসনা হেনা।
গত ১৪ জানুয়ারি ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যাক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, জিন্নাত আরা আত্মসমর্পণ করে জামিন পান।
অরিত্রীর আত্মহত্যায় ঘটনায় পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে গত ৪ ডিসেম্বর মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় তৃতীয় আসামি ছিলেন হাসনা হেনা।
অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারীর অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইল ফোনে নকল করেছে। এমন অভিযোগে অরিত্রীকে সোমবার তার মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ওইদিন স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। প্রিন্সিপালের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত প্রিন্সিপালের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরে বাসায় গিয়ে তিনি দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে।
উল্লেখ্য, স্কুলে ‘বাবার অপমান সইতে না পেরে’ গত অরিত্রী গত সোমবার নিজ বাসায় আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যার ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় ওঠে। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্কুল কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় স্কুলের অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষকেকে বরখাস্ত করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে উত্তরার একটি হোটেল থেকে হাসনা হেনাকে গ্রেফতার করে।
সারাবাংলা /এআই/একে