।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: সরকারি চিকিৎসকদের জন্য ‘প্র্যাকটিসিং গাইডলাইন’ তৈরি করতে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি স্বাধীন মেডিকেল কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে সরকারি চিকিৎসকদের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে প্রাইভেট প্র্যাকটিসের অনুমতি দিয়ে করা আইনটি কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই নির্দেশনা দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আবদুল সাত্তার পালোয়ান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (বাশার)।
স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সভাপতি এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতিকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
পরে আইনজীবী আবদুস সাত্তার জানান, গত ৪ ফেব্রুয়ারি সরকারি চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছিল। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আজ আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।
তিনি জানান, সারাদেশে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যে চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে সেটি আজ কলাপ্স হয়ে গেছে। আমরা আদালতে বলেছি, সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থা এভাবে চলতে পারে না। মানুষের জীবন নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য হচ্ছে। এর মূল কারণ হলো সরকারি চিকিৎসকেরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন। প্রাইভেট প্র্যাকটিস যদি বন্ধ করা যায়, তাহলে সরকারি চিকিৎসায় একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। আদালত আমাদের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন এবং নির্দেশনা দিয়েছেন।
‘ডাক্তার ব্যক্তিগত চেম্বারে, হাসপাতালে রোগীর মৃত্যু’ শিরোনামে গত ২৯ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্ট বিভাগে রিট আবেদন করা হয়।
আদালত বলেছেন, সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে বাণিজ্য হচ্ছে। সরকার কোটি কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে চিকিৎসাখাতে। কিন্তু সাধারণ মানুষ অসুস্থ হয়ে সরকারি হাসপাতালে গিয়ে সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না, প্যারাসিটামল ছাড়া ওষুধ পাচ্ছেন না। সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে যাতে কেউ ব্যবসা করতে না পারে। সেবামূলক পেশা হিসেবে পরিচিত চিকিৎসায় বাণিজ্য যেন মুখ্য না হয়, সেই কারণে একটি গাইডলাইন থাকা উচিৎ।
সারাবাংলা/এজেডকে/এটি