Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কেমিক্যাল কারখানার বিরুদ্ধে ডিএসসিসি মেয়রের হুঁশিয়ারি


১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৮:৪০

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: কেমিক্যাল কারখানা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহ থেকে পুরান ঢাকার কেমিক্যাল কারখানাগুলোতে অভিযান চালাবে ডিএসসিসি।

মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনের ব্যাংক ফ্লোর সম্মেলন কক্ষে ‘ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ও কেমিক্যাল পল্লিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থানান্তর’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে মেয়র এসব কথা বলেন।

মেয়র আরও বলেন, ‘আমরা ব্যবসা বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে চাই না। ব্যবসা চলবে, মানুষের জান ও মালেরও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তাই যদি কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকান, গোডাউন বা বাসায় দাহ্য পদার্থ পাওয়া যায়, যা জানমালের জন্য হুমকিস্বরূপ, সেগুলোর বিরুদ্ধে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ব্যবস্থা নেবেন।’

কেমিক্যাল কারখানার ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের আগে বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, এফবিসিসিআই, পরিবেশ অধিদফতর, সিটি করপোরেশন ও ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হবে বলে জানান মেয়র সাঈদ খোকন।

তিনি বলেন, ‘কমিটি সরেজমিন যাচাই-বাছাই করবে। যদি কারও কাছে নিষিদ্ধ ঘোষিত ২০টি কেমিক্যাল পাওয়া যায়, তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যাদের কারখানায় নিষিদ্ধ ঘোষিত কেমিক্যাল থাকবে না, কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী তাদের ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হবে।’

কেমিক্যাল কারখানাগুলোর তদারকির বিষয়ে অন্যান্য সংস্থাগুলোর সহযোগিতা কামনা করে মেয়র বলেন, এতগুলো কেমিক্যাল কারখানা তদারকি করা সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে সম্ভব নয়। সব সংস্থাকে তদারকি করতে হবে। আমরা কেমিক্যাল কারখানায় ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে চাই। তবে যেসব কেমিক্যাল কারখানা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কিংবা অগ্নিকাণ্ডের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, সেগুলোকে আমরা নবায়ন করতে চাই না। কমিটি এসব বিষয় পর্যালোচনা করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে।’

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৩ জুন পুরানো ঢাকার নিমতলিতে রাসায়নিক গুদামে অগ্নিকাণ্ডে ১২৮ জন নিহত হন। দগ্ধ হন আরও শতাধিক মানুষ। সে ঘটনার পর নিমতলী থেকে কিছু গুদাম ও কারখানা সরানো হয়। তবে এখনও পুরানো ঢাকার আশপাশে এরকম কারখানা চলছে নির্বিঘ্নেই।

এদিকে, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এক জরিপে জানিয়েছে, পুরান ঢাকায় এখনও ২৫ হাজার কেমিক্যাল গোডাউন  রয়েছে যেগুলোতে দাহ্য পদার্থ গুদামজাত করে রাখা হয়। এসবের মধ্যে ১৫ হাজার গুদাম আবাসিক ভবনের মধ্যে। সিটি করপোরেশনের হিসাব অনুযায়ী, মাত্র আড়াই হাজারের কাছে সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স আছে, আর বাকি ২২ হাজার গুদাম কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই চালানো হচ্ছে। এ এলাকাজুড়ে মোট ২০০ ধরনের দাহ্য কেমিক্যালের ব্যবসা করা হয়, যা ঘনবসতিপূর্ণ পুরান ঢাকার বাসিন্দাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

সারাবাংলা/এমএ/টিআর

কেমিক্যাল কারখানা ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর