এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:১৮
।। সারাবাংলা ডেস্ক।।
আজ পহেলা ফাল্গুন। ঋতুরাজ বসন্তের আগমনী দিন। শীতের রুক্ষ, হিমেল দিনের অবসান ঘটিয়ে প্রকৃতিতে এসেছে বসন্ত। গাছে গাছে নতুন পাতা আর ফুল বসন্তকে করে তুলেছে ‘বিশেষ ঋতু’। এত রূপ, রস, আর লাবণ্য নিয়ে প্রকৃতিতে আর কোনো ঋতু হাজির হয় না। তাই বসন্তকে বলা হয় ঋতুরাজ।
কেবল প্রকৃতি নয়, বসন্তে মানুষের হৃদয় রাঙা হয়ে ওঠে। বাংলাদেশে সর্বজনীন উৎসব হিসেবে যে দিনগুলোকে ধরা হয়, তার মধ্যে পহেলা ফাল্গুন একটি। সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ নির্বিশেষে এই দিনটি উৎযাপন করেন। বিশেষ করে শহুরে জীবনের জরা-জীর্ণতা দূর করতে এ দিনটি অনুষঙ্গ হিসেবে থাকে। মূলত কিশোর ও তরুণরা পহেলা ফাল্গুন বিশেষভাবে উদযাপন করে। তবে প্রবীণদেরও আনন্দ দেয় দিনটি।
১৫৮৫ সালে মোঘল সম্রাট আকবর ১৪ টি উৎসবের প্রবর্তন করেছিলেন। যার মধ্যে একটি ছিল ‘বসন্ত উৎসব’। এরপর ১৪০১ বঙ্গাব্দ থেকে এই উৎসব উদযাপনের রেওয়াজ শুরু হয়।
পহেলা ফাল্গুনে বাসন্তী রঙের পোশাক বেশি জনপ্রিয়। যদিও আজকাল লাল, হলুদ, সবুজ রঙের পোশাকও বেছে নেন অনেকে। পহেলা বসন্তের পোশাক হয় পুরোপুরি বাঙালিয়ানা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, চারুকলা, কলা ভবন, কার্জন হল, দোয়েল চত্বর, পলাশী মোড়, শাহবাগসহ নগরের নানা স্থানে জনসমাগম বেশি থাকে। এখন বইমেলা চলছে। এই দিনটি পরিবার, বন্ধু ও প্রিয়জন নিয়ে অনেকেই বইমেলায় কাটাতেই পছন্দ করেন।
এবারও বসন্তকে স্বাগত জানাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ নগরের নানা জায়গায় কনসার্ট ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রচলিত আছে, বসন্ত ঋতুতে প্রকৃতির বসন পাল্টায়। আগামী বছর কেমন যাবে তার নাকি আঁচ পাওয়া যায় বসন্তের রূপ দেখে। তবে মানুষ আশাবাদী। স্বপ্ন দেখা মানুষের ধর্ম। ‘মধুর বসন্ত এসেছে, মধুর মিলন ঘটাতে’ কবিগুরুর এই গানের মতো বসন্ত যেন মানুষে মানুষে মেলবন্ধন দৃঢ় করতে পারে, মধুর সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বাড়াতে পারে- এমনই প্রত্যাশা সবার।
সারাবাংলা/টিসি/একে