ফাগুন লেগেছে বনে বনে
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৩:৩৫
‘নীল দীগন্তে ওই ফুলের আগুন লাগলো’ রবীন্দ্রনাথের এই গানের কথাগুলো বিশ্বাস না হলে কোনো এক বসন্তে ঘুরে আসতে পারেন সুনামগঞ্জের শিমুল বাগান। দেখতে পাবেন কীভাবে আগুন লাগে নীল দীগন্তে। সেখানে নীল দীগন্ত আর ধু ধু বালুচরের মাঝে বিশাল এক শিমুল বাগান। বাগান বললে ভুল হবে, এ যেন শিমুলের রাজ্য। ৩৩ একর জমি নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে শিমুল বন।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শিমুলবাগানের অবস্থান সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী উপজেলা তাহিরপুরের লাউরের এলাকার মানিগাঁওয়ে। সুনামগঞ্জ শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে জাদুকাটা নদীর তীরে অবস্থান এই বাগানের।
১৭ বছর আগে এই বালুমাটিতেই বাদাঘাট (উত্তর) ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন বাণিজ্যিকভাবে শিমুলবাগানটি গড়ে তোলেন। তিনি মারা যাওয়ার পর তার ছেলে বাগানটির দেখাশোনা করেন। ২ হাজার ২৩টি শিমুলগাছ আছে এই বাগানে।
বসন্তকে বরণ করতে সারাবছরের সবুজ চিরায়ত বসন ছেড়ে এক ভিন্ন রূপ ধারণ করে শিমুল বাগান।
বসন্তে লাল রঙের অসংখ্য ফুলে ফুলে গাছগুলোতে যেন আগুন লেগেছে। শিমুলবাগানের এমন সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন সেখানে ঘুরতে যান পর্যটকেরা।
ঢাকা থেকে পাঁচশ থেকে সাড়ে পাঁচশ টাকায় শ্যামলী, মামুন অথবা এনা বাসে করে যাওয়া যায় সুনামগঞ্জ পর্যন্ত। এরপর সুনামগঞ্জ শহর থেকে জাদুকাটা নদীর তীর পর্যন্ত গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায়।
সুনামগঞ্জ নেমে নতুন ব্রিজ থেকে মোটরবাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে অনেক চালক। বারেক টিলা নদীর এই পাড় পর্যন্ত ভাড়া নেয় ২০০ টাকা। প্রতি বাইকে ২ জন চড়া যায়।
জাদুকাটা নদীর সামনে নেমে পাঁচ টাকা দিয়ে খেয়া অতিক্রম করে ওইপাড়ে গেলেই বারেক টিলা। এই টিলা থেকে জাদুকাটা নদী দেখা যায়। বারেক টিলা থেকে নেমে অটোরিক্সা পাওয়া যায়। এই অটোরিক্সাই আপনাকে নিয়ে যাবে ছবির মত সুন্দর শিমুল বাগানে।
ছবি: মামুন হোসেন ও নাফিজা দৌলা
সারাবাংলা/এমআই