ডাকসু নির্বাচনে পুনঃতফসিল চায় ছাত্রদল, কর্তৃপক্ষ ও ছাত্রলীগের না
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৪:৩৭
।। ঢাবি করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের তফসিল আবারো তিন মাস পেছানোর দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ ও ছাত্রলীগ বলছে তফসিল অনুসারেই নির্বাচন হবে।
বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আগামী ১১ মার্চ ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের তফসিল তিনমাস পেছানোর দাবি জানিয়েছে। এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি এই তফসিল পেছানোর দাবিসহ সাত দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছিল ছাত্রদল। কিন্তু উপাচার্য বলেছিলেন গঠনতন্ত্র ও আচরণবিধি অনুসরণ করেই ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজীব আহসান বলেন, আমরা দাবি জানিয়েছি ন্যূনতম তিন মাস রাজনৈতিক সহাবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর তফসিল ঘোষণা করতে হবে। আমরা ভোট কেন্দ্র অ্যাকাডেমিক ভবনে স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছি। ছাত্রদল তাদের সাত দফা দাবিতে অনড় অবস্থান জানিয়েছেন। দাবি বিবেচনা না করলে কি হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ছাত্রদল সভাপতি বলেন, আমরা প্রত্যাশা করব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখবেন, সকলের মতের ভিত্তিতে একটি কার্যকর ডাকসু নির্বাচন উপহার দেবেন।
এদিকে, ছাত্রদলের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা ডাকসু নির্বাচন চায়। এখন যদি নির্বাচন পিছিয়ে যায় তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সেন্টিমেন্টে আঘাত হানবে। আমরা চাই না সাধারণ শিক্ষার্থীদের থেকে বিচ্ছিন্ন হতে। ডাকসু নির্বাচন পেছানোর নামে প্রহসন, নাটক করার কোনো প্রয়োজন নেই। তফসিল অনুসারেই নির্বাচনটা হওয়া উচিত।
ছাত্রলীগ সভাপতি আরও বলেন, ডাকসু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এতে সকল ছাত্র সংগঠনের তরুণ প্রজন্ম অংশ নেবে। ছাত্রদল মধুর ক্যান্টিনে এসেছে তাদের স্বাগত জানাই। তবে, তাদের বলব আপনারা নামে ছাত্রদল কিন্তু কাজেকর্মে আপনাদের ছাত্রদের সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ সময় তিনি সম্মেলন করে ছাত্রদলের নেতৃত্ব সাধারণ ছাত্রদের হাতে তুলে দেন। তা না হলে আপনারা গ্রহণযোগ্যতা পাবেন না, সাধারণ ছাত্ররা আপনাদের বয়কট করবে।
এদিকে, ছাত্রদলের দাবির বিষয়টি অবহিত করলে ডাকসু নির্বাচনের প্রধান চীফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, সেটি সিন্ডিকেটের বিষয়। তবে, আমার মনে হয় সেটা করার আর সুযোগ নেই।
সারাবাংলা/কেকে/জেএএম