যাব মিউনিখ কনফারেন্সে কিন্তু মনে থাকবে উন্নয়ন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৪:৪৯
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ‘যাব মিউনিখ কনফারেন্সে কিন্তু মনে মনে থাকবে দেশের উন্নয়ন, কীভাবে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো যায়। রোহিঙ্গা সঙ্কট কাটাতে বৈশ্বিক জনমত ঢাকার পক্ষে আরও কীভাবে শক্তিশালী করা যায়। কেননা আমাদের দেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশে, ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বিশ্বে পরিণত হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন জার্মানি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেন, ‘গত দেড় বছর ধরে যেকোনো আলোচনায় রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যাতে এই বিষয়ে বিশ্ব জনমত বাংলাদেশের পক্ষে থাকে। কেননা রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধান এতো সহজ বিষয় না। তাই আসন্ন সফরেও আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে এই ইস্যুতে বাংলাদেশের পক্ষে আরও সমর্থন বাড়ানো।’
আসন্ন সফরকে ‘উত্তম সফর’ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশে, ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বিশ্বে পরিণত হতে হলে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও অনেক অনেক বাড়াতে হবে, বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে। তাই আসন্ন সফর এই দৃষ্টিকোণ থেকে উত্তম সফর। কেননা, জার্মানি বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী এবং একক দেশ হিসেবে জার্মানি সার্বিকভাবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের পরে এবং ইউরোপে সর্ববৃহৎ রপ্তানি বাজার। তাই এই সফরে দেশটির সঙ্গে আরও বাণিজ্যিক সম্পর্ক কীভাবে বাড়ানো যায় সে চেষ্টা করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অন্যদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রম বাজার। ইতোমধ্যে ১৯ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। তাছাড়া চিকিৎসা ও ইঞ্জিনিয়ারিংসহ বেশ কিছু খাতে বাংলাদেশি পেশাজীবীদের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার ভিসা উন্মুক্ত করেছে। গত বছর আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার ঘোষিত সাধারণ ক্ষমার আওতায় সেদেশে অবৈধ হয়ে পড়া প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশি নিয়মিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ সফর সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশিদের আরও অধিক কাজের সুযোগ সৃষ্টিতে অবদান রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের আমন্ত্রণে আগামী ১৫ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মানির মিউনিখ সফর করবেন। এরপর মিউনিখ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাবেন। সফর শেষে ২০ ফেব্রুয়ারি দেশে পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সারাবাংলা/জেআইএল/এনএইচ