বিশ্ব ইজতেমায় গাড়ি পার্কিং ও যানবাহন চলাচলে ডিএমপি’র নির্দেশনা
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৬:৫৭
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বিশ্ব ইজতেমা চলাকালে ট্রাফিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গাড়ি পার্কিং ও যানবাহন চলাচলের বিষয়ে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব এবং দ্বিতীয় পর্ব ১৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ১৮ ফেব্রুয়ারি আখেরি মুনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। দেশি-বিদেশি লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মানুষ যেন নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারেন সেই কারণে পুলিশের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- ইজতেমা নিয়ে কেউ অপপ্রচার চালালে কঠোর ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ইজতেমা চলাকালে রেইনবো ক্রসিং থেকে আব্দুল্লাহপুর হয়ে ধউর ব্রিজ পর্যন্ত এবং রামপুরা ব্রিজ থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত রাস্তায় ও রাস্তার পাশে কোনো যানবাহন পার্কিং করা যাবে না।
ঢাকা বিভাগ
ঢাকা বিভাগের মুসল্লিরা সোনারগাঁও জনপথ চৌরাস্তা থেকে দিয়াবাড়ি খালপাড় পর্যন্ত গাড়ি পার্কিং করবে। সিলেট বিভাগের গাড়ি পার্কিং হবে উত্তরার ১৫ নম্বর সেক্টর খালপাড় থেকে দিয়াবাড়ি গোলচত্বর পর্যন্ত। ঢাকা মহানগরের গাড়ি পার্কিং করতে হবে উত্তরার শাহজালাল এভিনিউ, নিকুঞ্জ-১ এবং নিকুঞ্জ-২ এর আশপাশের খালি জায়গায়।
চট্টগ্রাম বিভাগ
চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে আসা মুসল্লিরা গাউসুল আজম এভিনিউয়ের (১৩ নম্বর সেক্টর রোড) পূর্বপ্রান্ত থেকে পশ্চিমপ্রান্ত হয়ে গরিবে নেওয়াজ রোডে গাড়ি পার্কিং করবেন।
খুলনা, রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগ
খুলনা বিভাগ থেকে আসা গাড়ি পার্কিং হবে উত্তরার ১৭ ও ১৮ নম্বর সেক্টরের প্রধান সড়কের পাশে খালি জায়গায়। রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের মুসল্লিরা গাড়ি পার্কিং করবেন প্রত্যাশা হাউজিংয়ে।
বরিশাল বিভাগ
বরিশাল বিভাগের গাড়ি পার্কিং হবে ধউর ব্রিজ ক্রসিং সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ ল্যান্ডিং স্টেশন এলাকায়।
ডিএমপি’র বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নির্ধারিত স্থানে পার্কিং করা গাড়িতে চালক অথবা সহকারী (হেলপার) অবস্থান করবেন। মুসল্লিরা গাড়ির মালিক ও চালকের মোবাইল ফোন নম্বর রাখবেন, যেন বিশেষ প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন- ইজতেমার প্রতি ইঞ্চি জায়গা সিসিটিভির আওতায় থাকবে: আইজিপি
আখেরি মোনাজাত
দুই পর্বের আখেরি মোনাজাতের দিন (১৬ ফেব্রুয়ারি ও ১৮ ফেব্রুয়ারি) ডাইভারশন করা হবে। ডাইভারশন পয়েন্টগুলো হলো মহাখালী ক্রসিং, হোটেল রেডিসন গ্যাপ, প্রগতি সরণি, কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচে লুপ-২, ধউর ব্রিজ ও বেড়িবাঁধ ঘেঁষা উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরের প্রবেশ মুখ।
আশুলিয়া থেকে আব্দুল্লাহপুরগামী যানবাহনগুলো আব্দুল্লাহপুর না এসে ধউর ব্রিজ ক্রসিং থেকে ডানে মোড় নিয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ ব্যবহার করবে। মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে আব্দুল্লাহপুরগামী আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ সব ধরনের যানবাহন মহাখালী ক্রসিং থেকে বামে মোড় নিয়ে বিজয় সরণী-গাবতলী দিয়ে চলাচল করবে। কাকলী, মিরপুর থেকে উত্তরাগামী বড় বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান হোটেল রেডিসন গ্যাপে ডাইভারশন পাবে। কাকলী, মিরপুর থেকে উত্তরাগামী প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলোকে নিকুঞ্জ-১ গেটের সামনে ডাইভারশন দেওয়া হবে। প্রগতি সরণি থেকে আব্দুল্লাহপুরগামী যানবাহনগুলো কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচে লুপ-২ থেকে ডাইভারশন করা হবে। এই রুটগুলোর বিকল্প সড়ক ব্যবহারের অনুরোধ জানানো হয় ডিএমপি’র পক্ষ থেকে।
জরুরি সেবায় বিমানবন্দর সড়ক ব্যবহারের সুযোগ
দুই পর্বের আখেরি মোনাজাতের দিন (১৬ ফেব্রুয়ারি ও ১৮ ফেব্রুয়ারি) বিমান অপারেশনস ও বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স বিমান বন্দর সড়ক ব্যবহার করে চলাচল করতে পারবে।
প্রবাসী-বিদেশিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা
আখেরি মোনাজাতের দিন ভোর ৪টা থেকে ট্রাফিক উত্তর বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ২টি মিনিবাস ও ২টি মাইক্রোবাস বিদেশগামী বা বিদেশ ফেরৎ যাত্রীদের নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকার গেট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত বিনামূল্যে পরিবহন সেবা দেবে।
প্রয়োজনীয় নম্বর
ট্রাফিক সম্পর্কিত যে কোনো তথ্যের জন্য প্রয়োজনে সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (উত্তরা ট্রাফিক জোন ০১৭১৩-৩৯৮৪৯৮) অথবা ট্রাফিক ইনস্পেকটর (টিআই-উত্তরা ট্রাফিক জোন ০১৯১২-০২৫৯৩৯) নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়।
সারাবাংলা/এটি