প্রাথমিক শিক্ষাক্রমে পরিমার্জন আসছে, সংসদে প্রধানমন্ত্রী
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৯:৩০
।। সারাবাংলা ডেস্ক ।।
আগামী অর্থবছরের মধ্যেই প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক শিক্ষাক্রমে পরিমার্জন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা কার্যক্রমকে নতুনভাবে চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম নতুনভাবে চালু করতে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাক্রম পরিমার্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী বছর থেকেই নতুন শিক্ষাক্রমে ছাপানো বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- মনটা গ্রামেই পড়ে থাকে: প্রধানমন্ত্রী
বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সংসদে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মনোযোগী করতে চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) আওতায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পক্ষ থেকে জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ শিক্ষকসহ সাত হাজার সরকারি প্রাথমিক শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিতে সাত দিনের জন্য বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন- ঐক্যফ্রন্টকে সংসদে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
শেখ হাসিনা বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছর মেয়াদি মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি হওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। এ বছর সাত জন শিক্ষককে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্ট স্কটল্যান্ডে মাস্টার্স কোর্সের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনাও সরকারের রয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, ৬ হাজার ৪৭৫ জন প্রধান শিক্ষককে লিডারশিপ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর বাইরে শ্রেণিকক্ষে ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে পাঠদানের বিষয়ে ১০ হাজার শিক্ষককে আইসিটি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- ‘দেশে ফিরে নিজের নয়, জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছি’
শেখ হাসিনা বলেন, নবনিযুক্ত ৬ হাজার ২০০ প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক এবং ১২ হাজার ৭৫০ জন সহকারী শিক্ষককে ইনডাকশন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা মূল্যায়নসংক্রান্ত বিষয়ে ৬২ হাজার ৬৭০ জন শিক্ষককে ‘কম্পিটেন্সি বেজড আইটেমস ডেভেলপমেন্ট’ ও মার্কিং অ্যান্ড টেস্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন মার্কার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া উপজেলা, জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে প্রতিবছর শ্রেষ্ঠ শিক্ষককে পুরস্কার দেওয়ার মাধ্যমেও তাদের মানসম্মত পাঠদানে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
প্রাথমিকের পাঠ্যপুস্তককে আকর্ষণীয় করতে ২১টি পাঠ্যপুস্তকের ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পাঁচটি (চাকমা, মারমা, সাদরি, ত্রিপুরা ও গারো) ভাষায় প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি) পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। প্রাথমিক স্তরের শিক্ষকদের জন্য সহায়ক সামগ্রী হিসেবে শিক্ষক নির্দেশিকা ও শিক্ষক সংস্করণ প্রণয়ন করে সারাদেশে বিতরণ করা হয়েছে। প্রাথমিক স্তরে বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা ও ক্লাস রুটিন প্রণয়ন করে স্কুল পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বাসস।
সারাবাংলা/টিআর
প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাক্রম প্রাথমিক শিক্ষাক্রম শেখ হাসিনা