এই ছবি নিয়ে যে কেউ মন খুলে রিভিউ লিখতে পারবে: তৌকির আহমেদ
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৬:২৮
রেজওয়ান সিদ্দিকী অর্ণ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
অভিনেতা তৌকির আহমেদ এখন পুরোদস্তুর পরিচালক। একটি দুটি করে নির্মাণ করেছেন পাঁচ পাঁচটি ছবি। শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মুক্তি পাচ্ছে তার ষষ্ঠ ছবি ‘ফাগুন হাওয়ায়’। ছবিটি নিয়ে ইতোমধ্যেই মানুষের মাঝে এক ধরনের আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
তৌকির আহমেদ এখন ছবির প্রচারণায় ছুটে বেড়াচ্ছেন নানাদিকে। দম ফেলানোর ফুসরত নেই। প্রচারণার ব্যস্ততার মাঝেই তিনি কথা বললেন সারাবাংলার সঙ্গে।
‘ফাগুন হাওয়ায়’ মুক্তি পাচ্ছে শুক্রবার। প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কিন্তু অতীতে আপনার কোনো ছবি নিয়ে এমন প্রচারণা করতে দেখা যায়নি। কেন?
যুগটা এখন এমন জায়গায় এসে পৌঁছেছে যে, প্রচারণা ছাড়া উপায় নেই। মানুষের কাছে ছবি পৌঁছে দিতে প্রচারণা লাগবেই। আমি আমার আগের ছবিগুলোয় সেভাবে প্রচারণা করিনি, এটা ঠিক। কারণ আমি সবসময় ভেবেছি, প্রচারণার দায়িত্ব আমার না। এটা প্রযোজক, পরিবেশক করবেন। কিন্তু তাতে আমি দেখেছি ফল ভালো হয়নি। সে কারণে আমি ‘হালদা’ ছবি প্রচারণার দিকে মন দেই। তখন কিছুটা অগোছালো ছিল। তবে এবার গুছিয়ে প্রচারণা করার চেষ্টা করেছি। মানুষকে বেশি বেশি জানিয়ে প্রেক্ষাগৃহে নিতে হবে।
এই ছবির দর্শক কারা?
কোনো দর্শকশ্রেণি নেই। ‘ফাগুন হাওয়ায়’ সপরিবারে দেখার মতো ছবি। তরুণদের কাছে যেমন ছবিটি ভালো লাগবে, প্রবীণদের কাছেও ভালো লাগবে। ভালোবাসা, হাস্যরসাত্মক, বিদ্রোহ, দেশপ্রেম—সব উপাদান আছে এই ছবিতে। সবার দেখার মতো ছবি এটি। একটিও অশ্লীল দৃশ্য কেউ খুঁজে পাবে না (হাসি)।
‘ফাগুন হাওয়ায়’ নিয়ে কোনো সমালোচনা হলে গ্রহণ করবেন?
সিনেমা দেখার পর সেটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রিভিউ লেখা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। তাদের কাছে সিনেমাটি ভালো লাগলে ভালো লিখবেন। অন্য দশজনকে দেখার জন্য উৎসাহ দেবেন। খারাপ লাগলে সেটাও বলবেন। একটি কাজ আমি করছি বলেই আপনি সমালোচনা করবেন। সুতরাং পরিচালকদের সমালোচনা গ্রহণ করা শিখতে হয়। আমার এই ছবিটি নিয়ে যে কেউ মন খুলে রিভিউ লিখতে পারেন। মানুষের সুচিন্তিত অভিমত আমি চাই।
তিশা-সিয়াম জুটি নিয়ে অনেকের আপত্তি আছে। কেউ কেউ বলছেন তাদের জুটি বেমানান।
এটা একদমই না। যারা এমনটা মনে করছেন তাদের সবার আগে ছবিটি দেখা উচিত। তাহলে ভুল ভাঙবে। বুঝতে পারবে কেনো তাদের কাস্ট করেছি! আগাম মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা উচিত বলে মনে করি।
আপনার মতে এটি একইসঙ্গে ভাষা আন্দোলন ও প্রেমের ছবি। দুটি আবেগ পাশাপাশি পরিচালনা করা কতটা চাপের?
গল্প বলাটাই হলো চলচ্চিত্র নির্মাণের মূল মুন্সিয়ানা। সেই জায়গা থেকে চিত্রনাট্য যত সহজভাবে করা হবে, গল্পটি তত সহজে দর্শকের কাছে পৌঁছাবে। আমি সবসময় আমার দর্শকের কথা চিন্তা করি। তাদের কাছে বোধগম্য হবে, সহজভাবে নিতে পারবে-এমন সিনেমা নিয়ে তাদের সামনে হাজির হই।
নতুন ছবির পরিকল্পনা…?
পরিকল্পনা আছে। তবে এখনই কিছু বলতে চাই না। আগে ‘ফাগুন হাওয়ায়’ মুক্তি পাক। তারপর নতুন প্রজেক্ট নিয়ে এগোবো। এখন সব ভাবনা চিন্তা ‘ফাগুন হাওয়ায়’কেন্দ্রিক।
সারাবাংলা/আরএসও/পিএম