ডিএনভি ক্লোথিং লিমিটেডের শ্রমিকদের নির্যাতন ও ছাঁটাইয়ের অভিযোগ
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৬:০২
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অনন্ত গ্রুপের ‘ডিএনভি ক্লোথিং লিমিটেড’ ১৫০ জন শ্রমিককে বিনা বেতনে ছাঁটাই ও আরও অনেক শ্রমিককে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নির্যাতিত শ্রমিকদের একটি দল বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে এই অভিযোগ জানান।
নির্যাতিত শ্রমিকেরা সারাবাংলাকে বলেন, গত বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) কারখানায় প্রবেশকালে ১৫০ শ্রমিককে শিল্প পুলিশ ও কারখানার সিকিউরিটি গার্ড প্রবেশমুখে আটক করে। এরপর আটককৃত শ্রমিকদের জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করতে বলে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। এই অন্যায্য প্রস্তাবে শ্রমিকেরা রাজি না হওয়ায় শিল্প পুলিশের সহযোগে তাদেরকে কারখানা থেকে বের করে দেয়া হয় এবং ভিতরে অবস্থিত বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের উপর লাঠি চার্জ করা হয়।
এতে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে যাওয়ায় কারখানার ভিতরে অবস্থিত শ্রমিকদের একটি কাগজে স্বাক্ষর করতে বলা হয়। যেখানে ১৫০ জন শ্রমিকদের বিরুদ্ধে কর্মকর্তাদের মারধোর করার অভিযোগ আনা হয়েছে। সহকর্মীদের প্রতি মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে রাজি না হওয়ায় কারখানার কর্মচারীরা ভেতরে অবস্থিত শ্রমিকদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করে।
নির্যাতনের শিকার শ্রমিক সীমা আক্তার সারাবাংলাকে জানান, কারখানার এক কর্মচারী আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। মিথ্যা স্বাক্ষর দিতে রাজি না হওয়ায় বিল্লাল নামের এক কর্মচারী আমার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে নির্যাতন করেছে। শুধু আমাকেই না, প্রায় সব শ্রমিককে নির্যাতন করেছে কারখানার কর্মচারীরা।
এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা চাকরিতে পুনরায় বহালের দাবি জানিয়ে বলেন, আমাদের একটাই দাবি, অন্যায্যভাবে আমাদের ছাঁটাই না করে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হোক। আর যদি তা না করে সেক্ষেত্রে কারখানার নিয়ম-নীতি অনুযায়ী আমাদের সকল পাওনা মিটিয়ে পরে আমাদের ছাঁটাই করা হোক আর মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি বন্ধ করা হোক।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক আন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবির প্রতি একাত্মতা জানিয়ে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে শ্রমিকদের ওপর হামলা-মামলা খুবই বেড়ে গেছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্যতম কারিগর শ্রমিকদের বিরুদ্ধে এসব নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা জানান দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
সারাবাংলা/ওএম/এনএইচ