উপমন্ত্রীর আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত এসিটি শিক্ষকদের
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৫:৫১
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বকেয়া বেতন পরিশোধ ও চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি মেনে নিতে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে টানা ১২ দিনের অনশন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করেছে বাংলাদেশ অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক অ্যাসোসিয়েশন (এসিটি)। তবে উপমন্ত্রীর আশ্বাস অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি না হলে মার্চ থেকে অনশন কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।
বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসিটি নেতারা এ ঘোষণা দেন।
সংগঠনের সভাপতি কৌশিক চন্দ্র বর্মন সারাবাংলাকে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিনিধি দল নিয়ে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল চৌধুরী নওফেলের সঙ্গে একান্তভাবে সাক্ষাৎ করেছি। তিনি চলমান এসএসসি পরীক্ষার পর পরই সেকায়েপভুক্ত ৫২০০ শিক্ষকের চাকরি বিষয়ে স্থায়ী সমাধান করার ব্যাপারে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আমাদের অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেছি।’
কৌশিক চন্দ্র বর্মন আরও জানান, উপমন্ত্রীর আশ্বাসের লিখিত প্রজ্ঞাপন জারি করা না হলে মার্চ মাস থেকে ফের অনশন কর্মসূচি ও আন্দোলন শুরু করবে কেন্দ্রীয় কমিটি।
উল্লেখ্য, মানসম্মত শিক্ষকের ঘাটতি মেটানোর লক্ষ্যে ২০১৫ সালে সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্টের (সেকায়েপ) আওতায় ৫ হাজার ২শ তরুণকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। দেশের আড়াইশ উপজেলায় ২ হাজার একশ মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানে মেধাবী ও নিজ জেলার সর্বোচ্চ নম্বরধারীরা যোগ দেন শিক্ষক হিসেবে। ওই নিয়োগে মডেল শিক্ষক হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার পাশাপাশি প্রকল্প শেষে ম্যানুয়ালের ৩৬ নম্বর ধারায় চাকরি স্থায়ী করার কথাও উল্লেখ ছিল।
এসিটি নেতারা বলছেন, প্রকল্প শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চাকরি স্থায়ী করতে বিষয়ে চিঠি পাঠানোর ১৪ মাস পার হয়ে গেছে। তবে তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের আশ্বাস বাস্তবায়িত হয়নি। এতে করে ১৪ মাস ধরে বিনা বেতনে ৩৭ লাখ ২০ হাজার ৯৪টি ক্লাস নিতে হয়েছে এসিটি শিক্ষকদের। এরই মধ্যে মন্ত্রণালয় এসিটির শিক্ষকদের বাদ দিয়ে নতুন করে ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। বিনা বেতনে পাঠদানের ফলে এসিটি শিক্ষকরা অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন ও অস্তিত্ব সংকটে ভুগছেন বলে জানিয়েছেন এসিটি নেতারা।
সারাবাংলা/ওএম/টিআর