যাত্রাবাড়ীর ভুয়া এসআই কারাগারে
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২২:২৫
।।স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মো. কায়েস আহমেদ রাব্বী (২৫) নামে ভুয়া পুলিশ উপ-পরিদর্শককে (এসআই)কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহএ আদেশ দেন।
এদিন, মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ীর থানায় এসআই মো. ওমর ফারুক আসামিকে আদালতে হাজির করে আসামিদের সহযোগীদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহসহ গ্রেফতারের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামি একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। সে দীর্ঘদিন ধরে এই থানা এলাকার সাধারণ ও নিরীহ জনগণের সঙ্গে নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে বিভিন্নভাবে প্রতারণা করে আসছিল। প্রাথমিক তদন্তে মামলার ঘটনার সঙ্গে আসামির জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই এ মামলায় সহযোগীদের নাম ঠিকানা সংগ্রহসহ গ্রেফতারের লক্ষ্যে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
এদিকে, আসামি পক্ষের আইনজীবী আমিরুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এ জামিনের বিরোধতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে রিমান্ড বাতিল করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে ভুয়া এসআই আটক
এরআগে, বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে যাত্রাবাড়ীর ধলপুরের ‘যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ’-এর পাশের একটি বাসা থেকে কায়েসকে আটক করেন র্যাব-১০।
উল্লেখ্য, এ মামরার আসামি দীর্ঘদিন ধরে যাত্রাবাড়ী ও আশেপাশের এলাকায় পুলিশ পরিচয়ে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। ওই খবরের ভিক্তিতে উত্তর যাত্রাবাড়ীর ১২১/এ নম্বর বাসা থেকে কায়েস আহমেদ রাব্বী নামে এক ভুয়া পুলিশ কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে।
আটকের সময় তার কাছ থেকে ডিএমপির দুই সোল্ডারে (কাঁধে) পুলিশ ব্যাজ, হ্যাংগিং ব্যাজসহ এসআই র্যাংক ব্যাজ লাগানো ১টি হাফ শার্ট, ২টি নেভি ব্লু রঙের ফুল প্যান্ট, ২টি কালো রঙের ইউনিফর্ম বেল্ট, ১ জোড়া বুট, পুলিশ মনোগ্রামযুক্ত ১টি ফিল্ড কেপ, উভয় পাশে পুলিশ লেখা ২টি রিফ্লেক্টিং ভেস্ট, ২টি ব্যাটারি ও ১টি চার্জারসহ ১টি ওয়াকিটকি সেট, ১টি বাঁশি ও প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১টি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় প্রতারণার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।
সারাবাংলা/এআই/এমএনএইচ