Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এসডিজিতে বাড়তি অর্থায়নই বড় চ্যালেঞ্জ: অর্থমন্ত্রী


১৮ জানুয়ারি ২০১৮ ১৮:৩৯

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: এসডিজি বাস্তবায়নে বাড়তি অর্থায়ন সব দেশের জন্যই বড় চ্যালেঞ্জ মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বলেছেন, ‘এসডিজি বাস্তবায়নে বিশ্বের প্রতিটি দেশের কাছেই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ডলার বা টাকাটা কিভাবে পাওয়া যাবে।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম (বিডিএফ)-২০১৮’র সমাপমী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ’মার্চে আমরা এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে বেরিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ পরিবর্তিত অবস্থার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। এটা নতুন বছরের নতুন জার্নি। আমরা নতুন যায়গায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।’

দাতাদের সহযোগিতায় বাংলাদেশ যথেষ্ট লাভবান হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘দাতারা যে সাহায্য করেছে তাতে আমরা যথেষ্ট লাভবান হয়েছি, আমরা এটাতে আপত্তি করছি না। তবে আমাদের চেয়েও উন্নত দেশকে আমরা সাহায্য করছি। মালয়েশিয়া ভুটানের শিক্ষার্থীদেরও বৃত্তি দিচ্ছি।’
রোহিঙ্গা ইস্যুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মুহিত বলেন, বিষয়টি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের কাছে আমি চিঠি লিখেছি। তাদের বাসস্থানের জন্য ভাসানচরে আমরা নিজেরাই বিনিয়োগ করছি।

এর আগে এক সেশনে বেসরকারি খাতকে প্রবৃদ্ধির ইঞ্জিন আখ্যা দিয়ে উন্নয়ন সহযোগী ও দেশি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এসডিজি বাস্তবায়নে বিকল্প অর্থায়নের ব্যবস্থা করতে হবে। অর্থায়নের ক্ষেত্রে বেসরকারি খাত ও নিজস্ব অর্থের উৎসকে প্রাধান্য দিতে হবে। ‘ ইন্ট্রিগ্রেটেড এসডিজি ফাইনান্সিং অ্যান্ড স্ট্রেনদেনিং মাল্টি-স্টেকহোল্ডারস পার্টনারশিপস’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য ও সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম।

বিজ্ঞাপন

মূল প্রবন্ধে ড. শামসুল আলম বলেন, এসডিজি অর্জনে আগামী ১৩ বছরে বাংলাদেশের অতিরিক্ত ৯২৮ বিলিয়র ডলার প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ অর্থায়ন বিদেশী উৎস থেকে আসবে। অর্থায়ন বলতে কেবল টাকা পয়সা দিয়ে সহযোগিতা নয়, জ্ঞান-প্রযুক্তি ও উন্নয়ন অংশীদারীত্ববের মাধ্যমে তারা এ সহযোগিতা করবেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, এসডিজি একক কোন দেশের এজেন্ডা না। এটা বৈশ্বিক লক্ষ্য। এসডিজির ১৭ টি লক্ষ্যের মধ্যে অংশীদারিত্ব অন্যতম। আমার মতে বাংলাদেশের পক্ষে এসডিজি অর্জনে বিদেশী সহযোগীদের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, অর্থায়নের সমস্যা সব সময় থাকে, থাকবে। তবে এসডিজি বাস্তবায়নের অর্থ আসবেই।

দুদিনের এ সম্মেলনে মোট ৮ টি কর্ম অধিবেশনে এসডিজি বাস্তবায়নে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্ম পরিকল্পনা নির্ধারণ করেছে। আগামী নির্বাচনের পর ২০১৯ সালে উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে পরবর্তী বিডিএফ বৈঠক হবে বলে সংবাদ বিফ্রিংয়ে জানানো হয়। এবারের সম্মেলন ছিল বাংলাদেশের জন্য তৃতীয় আসর।

সারাবাংলা/ইএইচটি/জেএএম

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর