Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার অসৎ উদ্দেশ্য ছিল বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের’


১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১২:৩১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ছবি)

।। সারাবাংলা ডেস্ক ।।

একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি ও জাতীয় এক্যফ্রন্ট অংশ নিয়েছে। কিন্তু এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অসৎ উদ্দেশ্য তাদের সবসময় ছিল। কারণ তাদের জনপ্রিয়তা সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গিয়েছিল এবং তাদের নির্বাচনে জেতার কোনো সম্ভাবনা ছিল না।

বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জার্মানি পৌঁছানোর পর সেখানে হোটেল শেরাটনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথম বিদেশ সফরে গেলেন শেখ হাসিনা।

আরও পড়ুন- জার্মানি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রবাসীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনেও বিএনপি মাত্র ২৮টি আসন পেয়েছিল। ওই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন তোলেননি। এরপর তারা যেভাবে রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে সহিংসতা ও জ্বালাও-পোড়াও করেছে, তাতে তারা ওই নির্বাচনের ফলের চাইতে ভালো ফল কিভাবে আশা করে? ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে তারা যে সন্ত্রাস করেছে, তার কথা তো মানুষ ভুলে যায়নি।

বিএনপি নিজেই এই নির্বাচনে পরাজয়ের কথা অনুমান করতে পেরেছি এবং সে কারণেই নির্বাচন নিয়ে তারা সত্যিকার অর্থে কাজ করেনি বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এতিমের টাকা মেরে দেওয়া খালেদা জিয়া একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। ১০ ট্রাক অস্ত্র ও গ্রেনেড হামলার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক জিয়া। এ ধরনের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মানুষ কেন ভোট দেবে, সেটাই তো বড় প্রশ্ন।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: জার্মানির উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত নেতাদের মনোনয়ন দেওয়াও বিএনপির পরাজয়ের বড় কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তারা অনেক জামায়াত নেতাকে ধানের শীষ প্রতীক দিয়েছিল। তাদের জনসমর্থন হারানোর একটি বড় কারণ এটিও। কারণ মানুষ স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার-আলবদরদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের পুনর্বাসন করার আর কোনো সুযোগ নেই।

জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদের পরিচালনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, সর্বইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল দাসগুপ্ত ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরিফ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

এর আগে, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি মিউনিখ সময় দুপুর ১টা ১০ মিনিটের সময় জার্মানির মিউনিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ।

বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেওয়া ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী সেখানে শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও হেলথ ক্যাম্পেইনারদের সাথেও বৈঠক করবেন। বাসস।

সারাবাংলা/টিআর

জার্মান সফর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর