‘নৌকা না জিতলেও বিদ্রোহী প্রার্থী জিতবে, বিএনপির কী লাভ?’
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৩:১০
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা না জিতলে সেখানে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরাই জয়ী হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বিএনপি মনে মনে মনকলা খেতে পারে। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে আওয়ামী লীগের অন্তঃকলহ বাড়বে, তাতে বিএনপির লাভটা কী? রেজাল্ট কি তাদের পক্ষে আসবে? আওয়ামী লীগের যদি নৌকা প্রার্থী না জেতে, তাহলে বিদ্রোহী প্রার্থী জিতবে। সেও তো আওয়ামী লীগের। তাতে বিএনপির লাভ কী?
শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদেরকে প্রশ্ন করা হয়, আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল যেন বৃদ্ধি পায়, সেই কৌশল থেকেই বিএনপি দলীয়ভাবে অংশ নিচ্ছে না। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের ওই জবাব দেন।
উপজেলা নির্বাচনে কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে কিনা— এ প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, প্রার্থী হওয়ার আগে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আগে আমি কাউকে বিদ্রোহী প্রার্থী বলতে পারি না। আমরা দেখছি কারা কারা নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণার পরও বিদ্রোহ করে। এমন কেউ করলে বিষয়টি আমরা দেখব। এর জন্য প্রার্থিতা প্রত্যাহার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদের প্রার্থিতা উন্মুক্ত করেছে আওয়ামী লীগ। উপজেলা চেয়ারম্যান পদও উন্মুক্ত করা হবে কি না— জানতে চাইলে সরকারের এই সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে আমাদের কোনো দলীয় প্রতীক নেই। কিন্তু উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদগুলো উন্মুক্ত করে দিয়েছি, যেন সেখানে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতার একটা সুযোগ থাকে। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আমরা আমাদের নৌকা প্রতীক দিয়েছি, উপজেলা চেয়ারম্যান পদ আমরা উন্মুক্ত করিনি।
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি একতরফা নির্বাচন হয়েছিল। এদিনে আওয়ামী লীগের কোনো কর্মসূচি নেই। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মেমোরি এত শর্ট না। মানুষ মনে রেখেছে। তারা (বিএনপি) যখন নির্বাচনে জালিয়াতি আর কারচুপির কথা বলে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা বলে, তখন তারা ভুলে যায় যে তারাও এ দেশে ১৫ ফেব্রুয়ারি জালিয়াতির নির্বাচন করেছে।
তিনি বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারির মতো প্রহসনমূলক নির্বাচন আর বাংলাদেশে হয়নি। কাজেই ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন করার কলঙ্কে যারা কলঙ্কিত, তাদের মুখে কোনো নির্বাচনের শুচিতা, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা কি উচিত?
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেনসহ অন্যরা।
সারাবাংলা/এনআর/টিআর