ইতালিতে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদের সাক্ষাৎ
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৫:২১
।। ইসমাইল হোসেন স্বপন, ইতালি থেকে ।।
জাতিসংঘের রোম ভিত্তিক তিনটি সংস্থার প্রধানরা পৃথক বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেছেন।
সংস্থা তিনটির প্রধানরা হলেন, জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)-এর নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বেসলি, খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থা, ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন (এফএও)-এর মহাপরিচালক জসি গ্রাজিয়ানো ডি সিলভা এবং কৃষি উন্নয়ন বিষয়ক তহবিল, ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভলপমেন্ট (আইএফএডি)-এর সভাপতি জিলবার্ট এফ হাউংবো।
বুধবারের (১৩ ফেব্রুয়ারি)-এই আলোচনায় দারিদ্র্য ও ক্ষুধা মোকাবিলায় বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।
সাক্ষাতে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বেসলি তার সাম্প্রতিক ঢাকা সফর স্মরণ করেন। তিনি মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ ও অমানবিক অবস্থার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, সম্প্রতি ডব্লিউএফপি রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল বরাদ্দ ৫৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৯৬৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে। এছাড়া, দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূর করতে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য তিনি তার প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন।
ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন (এফএও)-এর মহাপরিচালক জসি গ্রাজিয়ানো ডি সিলভা বাংলাদেশের অসাধারণ অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং ৩১৬টি জাতীয় প্রকল্পে ৩০০ মিলিয়ন ডলার সহযোগিতায় তার সমর্থনের কথা উল্লেখ করেন।
ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভলপমেন্ট-(আইএফএড) এর সভাপতি জিলবার্ট এফ হাউংবো, রাষ্ট্রপতি সর্বোচ্চ কর্মক্ষম পোর্টফোলিওর জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনমান উন্নয়নে তার সংস্থার দায়বদ্ধতার কথা উল্লেখ করেন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল, বিগত ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূর করতে বাংলাদেশকে ক্রমাগত সহযোগিতার জন্য সংগঠন তিনটির প্রধানদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। মন্ত্রী সংস্থা তিনটির প্রধানদের অবগত করেন যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার গত দশকে ৬% এরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জনসংখ্যা বৃদ্ধি সত্ত্বেও খাদ্য নিরাপত্তার লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রশংসনীয় অগ্রগতি হয়েছে। মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের চতুর্থ স্থানে রয়েছে। মন্ত্রী আরও জানান, বাংলাদেশ এমডিজি অর্জনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে এবং ইতোমধ্যে ২০২১ সাল নাগাদ মধ্যম আয়ের দেশের স্থিতি অর্জনের লক্ষ্যে এবং ১৯৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে এসডিজিগুলির সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা নিয়ে প্রধান প্রজেক্ট তৈরি করেছে।
সারাবাংলা/ এনএইচ