চিকিৎসকরা আন্তরিক হলে ক্যান্সার রোগীদের বিদেশমুখিতা কমবে
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২৩:১৫
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: চিকিৎসকরা আন্তরিক হলে ক্যান্সার রোগীদের বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা কমবে বলে মন্তব্য করেছেন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. এ এফ এম কামালউদ্দিন। তিনি বলেন, সচেতনতার অভাবে দেশে ক্যান্সারের রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। অন্যদিকে আমাদের দেশে ক্যান্সার রোগ সংক্রান্ত চিকিৎসক কম সেটাও সত্যি।
শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ক্যান্সার অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এর আয়োজন করে। এতে দুই শতাধিক নবীন চিকিৎসক অংশ নেন।
তিনি বলেন, চিকিৎসাবিজ্ঞান অনুযায়ী, ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা সব দেশে একই। বাংলাদেশে যে নিয়ম মেনে চিকিৎসা হয়, অন্য দেশেও একই নিয়ম অনুসরণ করা হয়। তারপরও বাংলাদেশ থেকে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার প্রবণতা বেশি। দেশে ফিরে রোগীরা চিকিৎসা নিয়ে শুধু একটা কথাই বলেন, চিকিৎসক মনযোগ দিয়ে, সময় নিয়ে দেখেছেন। অর্থাৎ চিকিৎসা একই হওয়ার পরও আন্তরিকতার কারণে বিদেশে রোগীদের আস্থা বেশি। আমাদের দেশের চিকিৎসকরাও যদি রোগীদের আন্তরিকভাবে সময় দিয়ে কথা বলেন, চিকিৎসা দেন, তবে বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা কমে আসবে।
নবীণ চিকিৎসকদের রোগীদের প্রতি সহনুভূতিশীল হওয়ার পরামর্শ দেন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এম এম হাই। তিনি বলেন, রোগীদের সঙ্গে যতটা সম্ভব আন্তরিকভাবে কথা বলতে হবে। শুধু টাকার পেছনে ছুটলে চলবে না।
ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন বলে মত দেন জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ক্যান্সার এপিডেমিওলজি বিভাগের প্রধান ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন। তিনি বলেন, রোগী হলে চিকিৎসা হবে, কিন্তু সচেতনতা বৃদ্ধি করা হলে ক্যান্সার হবে না। অনেক সময় অনেকেই আসেন শেষ সময়ে, যখন আর কিছুই করার থাকে না। তাই ক্যান্সারের লক্ষণ, উপসর্গ এসব বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
ক্যান্সার নিয়ে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বাড়াতে আরও বেশি জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া কথা বলেন ক্যান্সার অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ মাসুমুল হক। তিনি বলেন, গত তিন বছর ধরে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করা, জনসচতনতা বাড়ানো আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মেডিকেলের কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শিশু ক্যান্সার ও রক্তরোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. জহুরা জামিলা খান, ডেলটা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. তপেশ কুমার পাল, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের গাইনি অনকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাহানা পারভীন, অ্যাপোলো হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা. নারিতা খুরশিদ।
সারাবাংলা/জেএ/এটি