শামিম রেজা, নিউজরুম এডিটর
ঢাকা : দেশের সর্বোচ্চ আদালত আগামী ছয়মাসের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র পরিষদের (ডাকসু) নির্বাচনের ব্যবস্থা নিতে রায় দিয়েছেন। কিন্তু এ রায়ের পরও শঙ্কা রয়েছে ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনকারী ওয়ালিদ আশরাফের মনে। আন্দোলন করা এ শিক্ষার্থী বলেন, এর আগেও আদালতের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে গাফিলতি করেছে ঢাবি প্রশাসন। ১০ জানুয়ারির মধ্যে সিনেট পূর্ণ করার কথা ছিল কিন্তু তারা সেটা করেনি।
ওয়ালিদ বলেন, আশ্বাস দেওয়ার তিন মাস তো এমনিতে পার হয়েছে। নির্বাচন দেওয়ার ব্যাপারে প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ভেবেছিলাম ছয় মাস পার হলে আবারো প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করব। কোর্টের সিদ্ধান্তে আরও তিন মাস বেশি সময় পেয়ে গেল প্রশাসন।
ওয়ালিদ আশরাফ ‘ডাকসু চাই’ দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থিত ‘স্মৃতি চিরন্তন’-এ গত ২৫ নভেম্বর আমরণ অনশনে বসেন। তার দাবি ছিল, ‘না খেয়ে মরব তবু ডাকসু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি না নিয়ে ফিরব না।’ অনশনের ১৪ তম দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডাকসু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়ে তার অনশন ভাঙান।
যে শতবর্ষী কড়ই গাছটার নিচে অনশনে বসেছিলেন, বুধবার রাতে তারই নিচে ওয়ালিদ আশরাফকে পাওয়া গেল। তার প্রতিবাদের হাতিয়ার সাইকেলটাও রয়েছে সাথে। যার গায়ে লেখা, ‘অপেক্ষায় আছি।’
ওয়ালিদ বলেন, ‘আমার দাবি হাইকোর্টের কাছে ছিল না। আমার দাবি ছিল সাধারণ ছাত্রের কাছে, যারা ঘুণে ধরা এই সিস্টেমে পড়ে প্রতিনিয়ত মার খাচ্ছে। তারা আসুক, বসুক (স্মৃতি চিরন্তনে) এ জায়গাতে। ডাকসু নির্বাচন দিতে প্রশাসন বাধ্য।’
২৭ বছরে ধরে বন্ধ থাকা ডাকসুর সর্বশেষ নির্বাচন ১৯৯১ সালে। এরপর বারবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্বাচন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও কখনো কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ২১ মার্চ হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ২৫ শিক্ষার্থী। যার রায় দেওয়া হল পাঁচ বছর পর গতকাল বুধবারে। হাইকোর্টে এ রায়ে আগামী ছয় মাসের ভিতরে ডাকসু নির্বাচন দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
সারাবাংলা/এসআরপি/একে