সবচেয়ে বড় অন্তর্ভুক্তিমূলক কৌশল গণতন্ত্র: পরিকল্পনামন্ত্রী
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৩:১১
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় গণতন্ত্রই বর্তমান সরকারের সবচেয়ে বড় অন্তর্ভুক্তিমূলক কৌশল বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি বলেন, প্রতিটি কাজেই আমাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্দেশ্য রয়েছে। সবচেয়ে বড় অন্তর্ভুক্তিমূলক কৌশল হলো গণতন্ত্র। যদি সত্যিকার অর্থে আমরা টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি, সত্যিকার অর্থে যদি জনগণের কাজ ও শক্তি সম্পর্কে তাদের সচেতন করতে পারি, তাহলে অন্যান্য যে অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি, সামাজিক বা বুদ্ধিভিত্তিক অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন অর্জন করতে পারব।
শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেম আয়োজিত চতুর্থ বার্ষিক অর্থনীতিবিদ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনের এবারের প্রতিপাদ্য ‘সুশাসনের নতুন চ্যালেঞ্জ: অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন, বাণিজ্য ও অর্থব্যবস্থা’। সম্মেলনের সাতটি প্যানেলে ৩০টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন গবেষকরা।
বর্তমানে প্রতি পাঁচ জনে একজন দরিদ্র উল্লেখ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, যারা দরিদ্র তারা একটু হাত-পা নাড়ছে। আমরা বলছি না যে আমরা বৈষম্য দূর করতে পেরেছি। এরই মধ্যে যাদের সম্পদ আছে তারা বহুগুণে আরও ওপরে চলে গেছে। আমরা ব্যথিত, কিন্তু আমরা বাস্তবতাকে স্বীকার করি। বৈষম্য, দীর্ঘকালের বঞ্চনা— আমরা এগুলো স্বীকার করি। এগুলো মেনে নিয়েই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। ওপরের মাত্রাটা অনেক বেড়ে গেছে, নিচের মাত্রাটা সামান্য হলেও বেড়েছে। প্রতি পাঁচ জনে একজন এখন দরিদ্র, আমরা যখন শুরু করেছিলাম তখন প্রতি পাঁচ জনে দু’জনের বেশি ছিল দরিদ্র।
সরকার সব ক্ষেত্রের উন্নয়নে কাজ করছে জানিয়ে এম এ মান্নান বলেন,
সব ক্ষেত্রে হাত দিচ্ছি আমরা। খেলাধুলা, শিক্ষা, সংস্কৃতি— সব খাতে উন্নয়নের লক্ষ্য সরকারের। এসব কাজ করতে গিয়ে মাঝেমধ্যে কিছু ভুল হয়। সেগুলো আবার আমরা শুধরে উঠার চেষ্টা করি।
গ্রামে পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের ক্ষেত্রে সরকার একটি বৈপ্লবিক অর্জন এনেছে। বিল অঞ্চলে খুঁটি দিয়ে বিদ্যুৎ নিয়ে যাওয়া খুব সহজ কাজ নয়। সেই কাজটিও সরকার করেছে। নানা কারণেই গ্রাম এখন পরিবর্তিত হয়ে গেছে। দারিদ্র্যের ওপর আঘাত আসছে। সাক্ষরতার হার বাড়ছে। মানুষের আকাঙ্ক্ষা বাড়ছে। উৎপাদনও প্রান্তিকভাবে বেড়েছে। আমরা এখন পারব— এই বিশ্বাস মানুষের মধ্যে রোপন ও বপন করতে পেরেছি। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিয়ে আমরা কাজ করছি।
মন্ত্রী আরও বলেন, দেশ ও নিজের উন্নয়নে দৈহিক ও কায়িক পরিশ্রমের বিকল্প নেই। ঋণের মাধ্যমে সহায়তা, বলা হয় কোমল হার। তবে অন্ধকার ঘরে বসে হিসাব করে দেখি, এটা আসলে ততটা কোমল নয়।
সানেম চেয়ারম্যান বজলুল হক খন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসকাপ-এসএসডব্লিউ’র (নয়াদিল্লি) পরিচালক ড. নাগেশ কুমার ও বিআইডিএস গবেষণা পরিচালক ড. বিনায়েক সেন।
সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর
অন্তর্ভুক্তিমূলক কৌশল পরিকল্পনামন্ত্রী পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান