Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ডিজিটাল দুর্নীতি দূর করতে সবাইকে কান খাড়া রাখতে হবে’


১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৪:০১

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: ডিজিটাল দুর্নীতি যারা করে, তারা স্মার্ট হওয়ায় ডিজিটাল দুর্নীতি দূর করতে সবাইকে কান খাড়া রাখতে আহ্বান জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

তিনি বলেন, ডিজিটাল দুর্নীতি দূর করতে সচেতন থাকতে হবে। এক্ষেত্রে সব পক্ষকেই কান খাড়া রাখতে হবে। কেননা প্রযুক্তির বিষয়ে আমরা যেমন স্মার্ট, যারা দুর্নীতি ও অন্যায় করে তারাও স্মার্ট। ডিজিটাল দুর্নীতি কেবল আমাদের দেশে নয়, অন্য দেশেও প্রতিনিয়ত হচ্ছে। কিন্তু আমাদের ব্যাথা একটু বেশি লাগে। কারণ চুরি হলে আমাদের সবই চুরি হয়ে যায়। আমরা অন্যান্য দেশের তুলনায় গরীব।

শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন সামিট ২০১৯-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

রাজধানীর লেকশোর হোটেলে আয়োজিত দিনব্যাপী সম্মেলনে উদ্বোধনী পর্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ইনোভেশন ফর প্রোভার্টি অ্যাকশনের ডিরেক্টর রেবেকা রোজি।

আরও পড়ুন- সবচেয়ে বড় অন্তর্ভুক্তিমূলক কৌশল গণতন্ত্র: পরিকল্পনামন্ত্রী

সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এপিএমইএ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেবি ওয়াটকিংস। আরও বক্তব্য রাখেন বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদির, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) ট্রেজারি বোর্ডের স্পেশাল অ্যাডভাইজার প্রফেসর ইমরান রহমান ও ইউল্যাবের ডিরেক্টর সাজিদ অমিত।

সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা শিল্পের মধ্যে ঢুকছি, গ্রামে শিক্ষা ঢুকেছে এবং প্রযুক্তির মধ্যে ঢুকতে শুরু করেছি। কিন্তু কৃষিতে এতকিছুর জায়গা হচ্ছে না। ফলে মানুষ শহরমুখী হচ্ছেন। ফলে একটা গ্যাপ তৈরি হচ্ছে। তরুণদের মন-মানসিকতাতেও পরিবর্তন আনতে হবে। অনেকে বেকার থাকবে, কিন্তু গ্রামে যেতে চায় না। তাদের কাজ দেওয়া হলে সেটি পছন্দ হয় না। তারা আগের দিনের মতো চেয়ার-টেবিলে বসে কাজ করতে চায়। কিন্তু সেটি করলে হবে না। যারা যে যোগ্যতা-দক্ষতা, তাকে সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী বলেন, জনগণকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত করতে সরকার বয়স্ক ভাতা, বিধাব ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতা এবং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা মোবাইল ব্যাংকিং বা ডিজিটাল অর্থ ট্রান্সফার করছে, যেন গ্রামে অর্থ প্রবাহ বৃদ্ধি পায়।

এম এ মান্নান বলেন, দারিদ্র্য নিরসন এবং বৈষম্য কমাতে হলে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগাতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিকাশের প্রধান নির্বাহী কামাল কাদির বলেন, গ্রামীণ মানুষদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে বিশেষভাবে কাজ করছে বিকাশ। এখন একজন রিকশাচালকও বিকাশে টাকা পাঠান। এর মাধ্যমে নিজের অজান্তেই তিনি একজন শিল্পপতিকে সহায়তা করছেন। অর্থাৎ তার টাকাটা ব্যাংকে থাকছে। ফলে সেখান থেকে বিনিয়োগ বাড়ছে।

অধ্যাপক ইমরান রহমান বলেন, ডিজিটাল আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা ভীতি। ক্রেডিট কার্ড বা অন্যান্য সেবা ব্যবহারের ক্ষেত্রে মানুষ অহেতুক ভয় পাচ্ছে। কিন্তু ভয়ের কোনো কারণ নেই। পাশের কলকাতায় একজন মুদি দোকানদারেরও ক্রেডিট কার্ড আছে। তাই এই ভীতি জয় করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ যারা নিয়ন্ত্রক সংস্থা, তাদেরও সচেতনতা বাড়াতে হবে।

সাজিদ অমিত বলেন,  মোবাইল ব্যাংকিং ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আর্থিকভাবে অন্তর্ভুক্তি বাড়ছে। এর মধ্যে বিকাশ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে মানুষের প্রযুক্তির ভীতি কমেছে। এখন ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ব্যাংকিং পণ্যগুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ মানুষকে সঞ্চয়ে আনতে হবে। এই সঞ্চয় ব্যাংকিং খাতে হলে দেশে বিনিয়োগ বাড়বে এবং নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

বিজ্ঞাপন

দিনব্যাপী সম্মেলনে দু’টি সেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে— ইনোভেশন অ্যান্ড প্রোডাক্ট  ডেভেলপমেন্ট ফর দ্য লাস্ট-মাইল কাস্টমার এবং রোল অব দ্য রেগুলেটর ইন এনাবলিং ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশণ। এসব সেশনে প্যানেলিস্ট থাকছেন বিকাশ সিইও কামাল কাদির, ব্যাংক এশিয়ার এমডি মো. আরফান আলী, মাইক্রোসেভের বাভানা সিরিবাস্তভা, গ্রীণ ডেল্টা ইনস্যুরেন্সের  এমডি ও সিইও ফারজানা চৌধুরী, সুইস কনট্রাক্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর অর্নিবান ভৌমিক এবং ইনেনোভেশন ইনক্লুশন লিমিটেডের সিইও ইমরান ছরদুদ্দিনসহ অন্যরা।

সারাবাংলা/জেজে/টিআর

এম এ মান্নান ডিজিটাল দুর্নীতি পরিকল্পনামন্ত্রী পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর