সারাবাংলা ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের উপর ধারাবাহিক হামলার ঘটনা ঘটছে। তবে বারবার প্রশাসনের নজরে এনেও কোন সুষ্ঠ বিচার পাচ্ছেন না তারা। ফলে উদ্বেগ ও শঙ্কা নিয়ে প্রতিকূল পরিবেশে কাজ করতে হচ্ছে তাদের।
বৃহস্পতিবার এক লিখিত বার্তায় এ কথা জানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করা সাংবাদিদের এ সংগঠন থেকে জানান হয়, গত দুই মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। নির্যাতনের এ ঘটনা বারবার প্রশাসনের নজরে এনেও কোন সুষ্ঠ বিচার পায়নি তারা।
অপরদিকে, অভিযুক্ত ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধেও তাদের সংগঠন থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, বরং যাদের বহিস্কার করা হয়েছিল তাদেরকেও পদ দেওয়া হয়েছে।
১৬ জানুয়ারি রাতে বকশিবাজার এলাকায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন রেডিও টুডের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক নাজমুল হুদা ও সংবাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক আবদুল্লাহ আল জুবায়ের। এ সময় বেসরকারি যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরাপার্সন আবদুল লতিফকে বেধড়ক মারধর করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
এর আগে, ১৫ জানুয়ারি উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ডেইলি স্টারের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক আশিক আবদুল্লাহ অপু ও আলোকিত বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক মামুন তুষারের ওপর হামলা করা হয়। তাদের ধাক্কা দিয়ে ও মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিত দেরি করে অফিসে আসার অভিযোগের তথ্য অনুসন্ধানে গিয়ে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর দৈনিক ইত্তেফাকের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি কবিরুল ইসলাম কাননের ওপর হামলা করেন সেকশন অফিসার মো. নিজাম উদ্দিন, মো. আহসানুল কবির ও রেজিস্ট্রারের ব্যক্তিগত পিএস শেখ মো. গিয়াস উদ্দিন।
গত ২৮ নভেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিডিনিউজটুয়েন্টিফোর ডটকমের স্টাফ রিপোর্টার মাসুম বিল্লাহ ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের একজন নারী সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করেন ছাত্রলীগের বিজয় একাত্তর হলের কিছু উচ্ছৃঙ্খল নেতা-কর্মী। গত ১২ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তার স্টাফ রিপোর্টার সাইফ সুজন ও বাংলানিউজ টুয়েন্টিফোরডটকমের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক কবির আবরারের ওপর চড়াও হন দর্শন বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ সকল ঘটনার একটিরও বিচার করেনি বরং কোনো কোনো ঘটনার ক্ষেত্রে তদন্ত কমিটি গঠনের নামে বিচারপ্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করার কৌশল নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সাংবাদিকদের ওই সংগঠনটি।
সারাবাংলা/এসআরপি