জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় ধনী দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৭:৩৯
সারাবাংলা ডেস্ক
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় ‘সদিচ্ছা’ নিয়ে কাজ করতে ধনী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে মিউনিখে নিরাপত্তা সম্মেলনের একপর্যায়ে ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ এজ এ সিকিউরিটি থ্রেট’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় তিনি এই আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমাদের যথেষ্ট বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও অর্থায়ন রয়েছে। এখন প্রয়োজন সমাজের সর্বত্র ধনিক শ্রেণির সদিচ্ছা, আগ্রহ ও প্রচেষ্টা।’
শেখ হাসিনা বলেন, বৈশ্বিক অব্যাহত উষ্ণতা বৃদ্ধিসহ জলবায়ু পরিবর্তন মানুষের জন্য সত্যিকার এক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশে সাইক্লোন, ঝড় জলোচ্ছ্বাস ও মৌসুমি বন্যা মানুষের জীবন জীবিকার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয় কারও কোনো সন্দেহ থাকলে বাংলাদেশে এসে প্রকৃত অবস্থা দেখে যাওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনে কারণে লাখ লাখ মানুষ পৈতৃক ভূমি ছেড়ে চলে যাচ্ছে। নদী ভাঙন, লবণাক্ত পানি ও ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের মিশ্রণের কারণে এসব ঘটছে।
বঙ্গোপসাগরে পানিতে অ্যাসিডিটি বাড়ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যদিও বৈশ্বিক উষ্ণায়নে বাংলাদেশের ভূমিকা সামান্যই।
শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ুর এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ বিশ্বে চাল ও মাছ উৎপাদনে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। সবজি উৎপাদনে পঞ্চম ও হর্টিকালচারে শীর্ষ দশের মধ্যে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বিশ্বের কাছে জাদুকরী পরিবেশবান্ধব পাটের আঁশ ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছি। আমরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নিজস্ব উদ্যোগে বৈরি অবস্থায় টিকে থাকার উপযোগী শস্যের জাত উদ্ভাবন করেছি।
ব্রিটিশ আবহাওয়া অফিস ২০১৪ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এক দশককে ১৫০ বছরের মধ্যে উষ্ণতম দশক বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছে। জলবায়ুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার জন্যে জীবনযাত্রা, আচরণ, পদ্ধতি ও অর্থনীতিতে পরিবর্তনের আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
সারাবাংলা/জেএএম/এমএনএইচ