Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শিশু ক্যান্সার ভালো হয়, প্রয়োজন সচেতনতার


১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৯:৫৭

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: শিশু ক্যান্সার ভালো হয়। অনেক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এখন চিকিৎসাও রয়েছে। প্রয়োজন এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরির- এমন মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তারা আরও বলছেন, সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে হবে।

রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব শিশু ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চিকিৎসকরা এসব কথা বলেন। এ সময় ক্যান্সার জয় করা শিশু এবং তাদের বাবা-মা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ঢামেক হাসপাতালের শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এ কে এম আমিরুল মোরশেদ খসরু বলেন, শিশু ক্যান্সার নিরাময়যোগ্য, প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পরলে, সঠিক চিকিৎসা পেলে ক্যান্সার থেকে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু অনকোলজি বিভাগ চালু হওয়ার পর থেকে চিকিৎসা নিয়ে ২৫০ শিশু সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ শিশুই ছিল ব্ল্যাড ক্যান্সারে আক্রান্ত।

তিনি বলেন, আমাদের অভিজ্ঞতা হলো- মোট ভর্তি রোগীর মধ্যে চিকিৎসা নিতে নিতে শতকরা প্রায় ৪৫ ভাগ রোগী ড্রপ আউট (ঝড়ে গিয়েছে) হয়েছে। আর এর কারণ মূলত অর্থনৈতিক এবং হেলপিং ম্যানপাওয়ারের অভাব। সাপোর্টিং ব্ল্যাড এবং ডোনার খুঁজে বের করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ অধিকাংশ ডোনার বিশ্বাস করেন, ক্যান্সার ভালো হয় না।

এদিন সকালে বেলুন উড়িয়ে দিবসটি পালনে নেওয়া কর্মসূচি শুরু হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ। পরে শিশু ক্যান্সারাক্রান্ত রোগীদের নিয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে শিশুরা চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। তাদের জন্য আয়োজন করা হয় পুতুল নাচ অনুষ্ঠানের।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ইফফাত আরা শামসাদ বলেন, আমরা কী গতকাল রাতেও ভেবেছিলাম আজকের সকালটা এমন দুর্যোগপূর্ণ হবে। এই পরিবারের জন্যও শুরুটা ছিল আজকের সকালের মতো। শিশুরা যখন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়, তখন তাদের বিশেষ কিছু ওষুধ দরকার হয়। সতর্ক না হলে শিশুর শরীরে থাকা অন্য রোগগুলো প্রভাব ফেলতে পারে। শিশুরা বিভিন্ন সংক্রামণের শিকার হতে পারে। শিশুদের চিকিৎসার বিষয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সচেতন হতে হবে।

ডা. ইফফাত আরা শামসাদ শিশু ক্যান্সারাক্রান্ত পরিবারের উদ্দেশে বলেন, প্রথমেই মন থেকে এই ভয় দূর করতে হবে। তাহলেই ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত যেকোনো রোগীর পরিবার সাহস নিয়ে এগিয়ে যেতে পারবে।

অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক হারুন উর রশীদ বলেন, যখন কোনো শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়, তখন সেই শিশুটি শারীরিক কষ্ট সহ্য করে বটে। কিন্তু তার চেয়েও বেশি কষ্ট হয় পরিবারের সদস্যদের। তাই এসব পরিবারের সঙ্গে থাকতে হবে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মনীষা ব্যানার্জী বলেন, শিশু ক্যান্সার সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য, সময়টা কেবল ধৈর্য্য ধরে পার করতে হবে। দেশের অনেক হাসপাতালে এখন শিশু ক্যান্সারের চিকিৎসা হয়।

অনুষ্ঠানে শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সাহনুর ইসলাম বলেন, ক্যান্সারাক্রান্ত রোগীর পরিবারগুলোকে আশার বাণী শোনাতে হবে। তাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে। তারা যেন মানসিকভাবে ভেঙে না পড়ে।

সারাবাংলা/জেএ/এটি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

‘তুফান’ আসছে হিন্দি ভাষায়
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৪৯

সম্পর্কিত খবর