একফোঁটা সৌন্দর্যের জন্যে
১৯ জানুয়ারি ২০১৮ ০৯:৩৪
মাকসুদা আজীজ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর
দম দেওয়া পুতুলের মতো কাজ কাজ কাজের পর আজ অবশেষে শুক্রবার! তাই বলে কি কাজের শেষ? নাহ এই হয়তো ঘরের কোণে ঝুল জমে আছে, অমুকে হয়তো দাওয়াত না পেয়ে গাল ফুলিয়ে ঢোল করে রেখেছে। ইশ সপ্তাহের বাজারটা আজ না সেরে রাখলে সারা সপ্তাহই বুঝি না খেয়ে থাকা লাগে! সর্বনাশ বাচ্চার স্কুলে না এ সপ্তাহে অনুষ্ঠান! তার প্রস্তুতি কী নেওয়া হয়েছে?
ছুটির দিনের শুরুতেই এমন কত কেজো কথা আমাদের মনে আসে, আর ছুটির দিনটিও একটা কেজো দিন হয়ে যায়!
মাঘের আজ ৬ তারিখ। সকাল ছয়টা ৪৩ মিনিটে সূর্য আমাদের ধরা উদ্ভাসিত করে নিজের রাজত্ব বিস্তার করেছে। আমরা এখনও কম্বলের নিচে মোড়ামোড়ি করছি। এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে বাইরে কুয়াশা বেশ কেটে গিয়েছে, আকাশেও নেই মেঘের প্রতাপ। ১৩ থেকে ১৫ ডিগ্রি শিশির আছে। সেই শিশিরের গায়ে সূর্য ক্ষণিকের জন্য যে মুহূর্ত তৈরি করে তা দেখার জন্যে আমাদের কিন্তু ঘর থেকে বের হতে হবে!
চোখ বুজে ভাবুন তো ঘাসের উপর নরম এই শিশির বিন্দু, খালি পায়ে মাড়িয়ে গেলাম, শতক সহস্র নরম মুক্তগুলো পায়ের নিচে সুড়সুড়ি দিয়ে পা ধুয়ে দিল! বাইরে উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিক থেকে ৯ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ঘেয়ে আসছে হিমেল বাতাস! এদিকে রোদ ঠিক মায়ের মতো চোখ রাঙ্গিয়ে শীতকে বলছে, কেন জ্বালাস আমার বাছাকে? দে না একটু ওকে প্রাণ ভোরে শ্বাস নিতে! কাল বাদে পরশুই তো এ ফুরসত শেষ! নিক একটু সারাটা সপ্তাহ কাটিয়ে দেওয়ার মতো সুখ!
এই সুখ যদি আজ নিয়ে ফেলতে না পারেন তাহলে বিকাল ৫টা ৩৬ বাজতেই সূর্য ডুবে যাবে! তখন এই সুখ পাওয়ার সুযোগ আজকের মতো আপনি হারিয়ে ফেলবেন! এখনও কম্বলের নিচে বসে আছেন? প্লিজ না! উঠুন। দিনটিকে উপভোগ করুন!
শুভ সকাল!
আলোকচিত্রী- হাবিবুর রহমান
সারাবাংলা/এমএ