চট্টগ্রামে কবে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে?
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২১:২১
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: খাল থেকে মাটি তোলার সময় কেটে ফেলা গ্যাসের পাইপলাইনের মেরামত কাজ ২৪ ঘন্টা পরও শুরু হয়নি। খালের মাটি-আবর্জনা ও পানি সরিয়ে স্থানটি উন্মুক্ত করতে না পারায় মেরামত কাজ শুরু হয়নি। এই অবস্থায় কবে নাগাদ চট্টগ্রাম নগরীতে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে তা বলতে পারছেন না কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) এর কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডে মাইট্ট্যাখাল থেকে মাটি তুলতে গিয়ে গত শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে গ্যাসের একটি হাইপ্রেশার লাইন কেটে ফেলেন সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। এর ফলে শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা থেকে চট্টগ্রাম নগরীর বড় অংশে গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, যা দ্বিতীয় দিনেও অব্যাহত আছে।
কেজিডিসিএল’র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনিবার রাত থেকেই খালের মাটি ও পানি সরিয়ে পাইপলাইন উন্মুক্ত করার কাজ শুরু করেছে সিটি করপোরেশন। তবে খালের পাড়ে ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় রোববার বিকেল থেকে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে পাইপলাইনের মূল মেরামত কাজে এখনও হাত দিতে পারেননি কেজিডিসিএল’র প্রকৌশলীরা।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল)-এর ম্যানেজার (কাস্টমার অ্যান্ড মেইনটেনেন্স) ইঞ্জিনিয়ার অনুপম দত্ত সারাবাংলাকে বলেন, ‘পাইপলাইন উন্মুক্ত করতে হলে খালের বড় অংশের মাটি সরাতে হচ্ছে। এতে খালে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। সিটি করপোরেশন কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। তারা বলেছে- কাল (সোমবার) সকাল থেকে আবারও কাজ শুরু করবে। পাইপলাইন উন্মুক্ত করার পরই আমরা মেরামতে হাত দিতে পারব।’
কবে নাগাদ মেরামত শেষে পাইপলাইন সচল হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।’
কেজিডিসিএল’র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২৪ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপলাইনটি কেটে যাওয়ায় ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস কম সরবরাহ হচ্ছে। পাইপলাইনটি মেরামরতের পরও ভাল্ব সচল করে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করতে আরও কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা সময় লাগবে।
এদিকে পাইপলাইন কেটে ফেলায় রোববারও দিনভর নগরীর হালিশহর, পতেঙ্গা, ইপিজেড, সদরঘাট, বন্দর, কোতোয়ালীর বিভিন্ন অংশে গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ আছে। নগরীর আরও কয়েকটি এলাকায় গ্যাসের চাপ অস্বাভাবিক কম পাওয়া যাচ্ছে।
গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকার মানুষ। খাবারের জন্য হোটেল-রেঁস্তোরায় ভিড় করছেন তারা।
সারাবাংলা/আরডি/এসএমএন