সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঐতিহাসিক স্থান সংরক্ষণে মহাপরিকল্পনা
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২২:২৬
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
সংসদ ভবন থেকে: বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ দেওয়ার স্থানসহ স্মৃতি বিজড়িত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণসহ সংরক্ষণের মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যায়ে পুরো সোহরাওয়ার্দী এলাকার ঐতিহাসিক স্থানগুলো চিহ্নিত করে তা সংরক্ষণ করা হবে। পাশাপাশি ওই এলাকায় বিদ্যামান শিশুপার্কটিও আধুনিকায়ন করা হবে।
রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঐতিহাসিক স্থানগুলো সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ৭১ (ক) বিধিতে নোটিশ আনেন সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান। নোটিশ তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকরা এই ঐতিহাসিক স্থানে বাঙালি জাতির হৃদয় থেকে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি মুছে ফেলার জন্য ঘাতক জিয়াউর রহমান শিশুপার্ক নির্মাণ করেছিল।’
কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী ৭১ (ক) বিধিতে দুই মিনিটের আলোচনা করার সুযোগ থাকে নোটিশ উত্থাপনকারীর। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি নিয়ে কথা বলায় বিধির বাইরে সময় বাড়িয়ে দেওয়ায় আপত্তি তোলেন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা। পরে ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘বিধি অনুযায়ী দুই মিনিট থাকলেও বঙ্গবন্ধুর বিষয় হওয়ায় একটি বেশি সময় দিয়েছি অন্য কোনো বিষয় না।’
পরে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর কথা নিয়ে আমি আপত্তি করিনি। আমি বলেছি আগে দুইবার ৭১ বিধিতে নোটিশ দিয়ে দুই মিনিটে আলোচনা শেষ করতে পারিনি। তাই আগামীতে আমরাও যেন সুযোগ পাই। সেটা বলেছি। হয়তো বঙ্গবন্ধুর কথা বলেই সময় নেব।’
বিষয়টি নিয়ে সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নিয়ে আমরা বিশাল এক প্রকল্প নিয়েছি। সোহরাওয়ার্দীর অনেকগুলো ইতিহাস আছে। সংরক্ষিত ইতিহাস মুখে ফেলার জন্য জিয়াউর রহমান চেষ্টা করেছিল, সেখানে শিশু পার্ক করে। যেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিল সেই স্থানটা নিষিদ্ধ করেছিল এবং যেখানে পাক হানাদারবাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল সেই জায়গাটা নিশ্চিহ্ন করেছিল। আমরা সেসব চিহ্নত করেছি।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যেখানে বক্তব্য রেখেছিলেন সেখানে একটা বঙ্গবন্ধুর স্ট্যাচু (আবক্ষ মূর্তি) হবে এবং শিশুপার্কও থাকবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘শিশু পার্ক থাকবে এইজন্য যে আমাদের শিশুরা আসবে এবং এসব ঐতিহাসিক স্থানগুলো পরিদর্শন করবে এবং দেখবে। শিশু পার্ককে আরও আধুনিক করা হবে। পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নিয়ে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় ঐতিহাসিক স্থানগুলো চিহ্নত করা হবে। এরইমধ্যে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে গেছে।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমও