‘কৃষির উন্নয়নে অংশীদার হতে চায় ডেনমার্ক’
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৭:৫১
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের মধ্যে ব্যবসা, বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগিতার সম্পর্ক চলমান রয়েছে। এই সম্পর্ক অব্যাহত রেখে এবারে দেশের কৃষি খাতের উন্নয়নের অংশীদার হতে চায় ডেনমার্ক।
সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এসট্রুপ পিটারসেন এ কথা বলেন। সাক্ষাতে দুই দেশের কৃষি ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত পিটারসেন বলেন, বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের মধ্যে টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব ও দ্বিপাক্ষিক বৈদেশিক সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এই সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। এছাড়া বাংলাদেশের উন্নয়নে ডেনমার্কের সমর্থন সবসময় অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
সাক্ষাৎ শেষে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, স্বাধীনতা উত্তর সময়ে ডেনমার্ক আমাদের দেশে উন্নয়ন সহায়তায় অংশ নিয়েছে। দেশটি মৎস্য প্রযুক্তি ও কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে সহায়তা করে। এছাড়া ডেনমার্কের সঙ্গে ২০১৬ সালে কৃষি জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন খাতে চুক্তি সই হয়। দেশটির সঙ্গে কৃষি, পর্যটন ও নির্মাণ খাতের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রেও দু’টি দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে। দেশটির সঙ্ড়ে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, কৃষি যান্ত্রিকীরণের মাধ্যমে উৎপাদন খরচ কমিয়ে এনে উৎপাদিত শস্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাত ও বাণিজ্যিকীকরণ একান্ত প্রয়োজন। ফলে কৃষকের আয় বাড়বে, অতিরিক্ত কর্মসংস্থান তৈরি হবে, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হবে এবং জনগণের পুষ্টি ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এই শিল্প দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে হবে। কৃষক যে ফসলে ভালো দাম পাবে, সেই ফসলই ফলাবে। আমাদের কৃষি ও কৃষকদের বাঁচাতে হলে প্রক্রিয়াজাত ও বাণিজ্যিকীকরণ অপরিহার্য। সর্বোপরি বিনিয়োগে আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এর আগে, কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষৎ করেন আন্তর্জাতিক সার উন্নয়ন কেন্দ্রের (আইএফডিসি) প্রতিনিধি ইসরাত জাহান। দেশে প্রায় ৪০ বছর ধারে কাজ করছে সংস্থাটি। আইএফডিসি প্রতিনিধি মন্ত্রীকে তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন। তারা কৃষি উন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহের কথা জানান। এসময় কৃষিমন্ত্রী কৃষি প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাতকরণের ওপর তাদের দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প গ্রহণের পরামর্শ দেন।
এসময় কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান ও ডেনমার্কের ডেপুটি হেড অব মিশন রেফিকা হায়তা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এইচএ/টিআর