‘নারী ও শিশু হেল্পলাইনের তথ্য যুক্ত হয়েছে পাঠ্যবইয়ে’
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২৩:৫৯
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
সংসদ ভবন থেকে: ২০১৯ সালে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে একাদশ শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে যুক্ত করা হয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল টোলফ্রি হেল্পলাইন সেন্টার ১০৯। জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে এমনটাই জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ঝালকাঠি-১ আসনের সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল টোলফ্রি হেল্পলাইন সেন্টার ১০৯ নম্বর চালু হয়েছে। এই নম্বরে সপ্তাহের প্রতি দিন ২৪ ঘণ্টা ফোন করে নির্যাতনের শিকার হওয়া নারী ও শিশু এবং তাদের পরিবারসহ সংশ্লিষ্ট সবাই প্রয়োজনীয় তথ্য, পরামর্শসহ দেশে বিরাজমান সেবা এবং সহায়তা সম্পর্কে জানতে পারবে। এই হেল্পলাইন সেন্টার যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও বাল্যবিয়ে বন্ধে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করছে। ২০১৯ সালে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে একাদশ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে টোলফ্রি হেল্পলাইন ১০৯ সম্পর্কিত তথ্য যুক্ত করা হয়েছে।
নারী ও শিশু সহিংসতা প্রতিরোধে স্মার্ট ফোনে ব্যবহারযোগ্য মোবাইল অ্যাপস ‘জয়’ তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রাম (চতুর্থ পর্ব) শীর্ষক প্রকল্প জুলাই ২০১৬ থেকে জুন ২০২১ মেয়াদে চলমান আছে। এই প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমগুলো হলো- ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, খুলনা, রংপুর, ফরিদপুর এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৯টি ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। দেশব্যাপী নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের সেবাপ্রাপ্তির সুবিধার্থে ৪৭টি জেলা সদর হাসপাতাল এবং ২০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ৬৭টি ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেল স্থাপন করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর দ্রুত ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে ঢাকায় ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও বিভাগীয় পর্যায়ে রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, খুলনা, রংপুর এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭টি বিভাগীয় ডিএনএ স্ক্রিনিং ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের মনোসামাজিক কাউন্সেলিং দেওয়ার লক্ষ্যে ২০০৯ সালে ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বিভাগীয় এবং জেলা পর্যায়ে ৯টি রিজিওনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গা নারী এবং শিশুকে মনোসামাজিক কাউন্সেলিং ও সম্বলিত সেবা দেয়ার উদ্দেশ্যে কক্সবাজারে উখিয়া উপজেলায় কুতুংপালং এবং বালুখালীতে ১০টি মেন্টাল হেলথ সার্ভিস সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এসবি