এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
চলচ্চিত্রাকাশের এক নক্ষত্রের পতন। চলে গেলেন সুস্থধারার চলচ্চিত্র আন্দোলনের পথিকৃৎ মুহম্মদ খসরু। মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর একটার দিকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। সারাবাংলাকে তথ্যটি নিশ্চিত করেন মুভিয়্যানা ফিল্ম সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বেলায়েত হোসেন মামুন।
নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিস, এজমার সমস্যায় অনেক দিন ধরেই ভুগছিলেন মুহম্মদ খসরু। গত মাসে হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কেরানীগঞ্জের রোহিতপুরের বাড়ি থেকে ঢাকায় আনা হয়। ভর্তি করা হয় ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে।
আরও পড়ুন : বিজেপিতে যোগ দিলেন প্রসেনজিতের বাবা
১৯৬৩ সালে ‘পাকিস্তান চলচ্চিত্র সংসদ’ প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম একজন মুহম্মদ খসরু। সুস্থ চলচ্চিত্র প্রদর্শনের জন্য তিনি আন্দোলন করেছেন। চলচ্চিত্রের রুচিশীল দর্শক তৈরীতে তিনি কাজ করেছেন নিরলসভাবে। সেই চেষ্টা তিনি ধরে রেখেছিলেন গত প্রায় অর্ধশত বছর ধরে।
বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম পত্রিকা ‘ধ্রুপদী’ ও ‘চলচ্চিত্র’ এর সম্পাদক তিনি। এছাড়া বেশ কয়েকটি গ্রন্থের প্রণেতাও তিনি। প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক ও অভিনেতা রাজেন তরফদারের বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘পালঙ্ক’-এ খসরু সহকারী পরিচালক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
এদিকে তার মরদেহ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহীদ মিনারে আনা হবে কিনা সে বিষয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। এ প্রসঙ্গে বেলায়েত মামুন বলেন, ‘সামনে ২১শে ফেব্রুয়ারি। এজন্য শহীদ মিনার নতুন করে সাজছে। এই অবস্থায় সেখানে নেয়া হবে কিনা সে বিষয়ে আমরা এখনই বলতে পারছি না। আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
এছাড়া মুহম্মদ খসরুর মরদেহ কোথায় সমাহিত করা হবে সে বিষয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সিদ্ধান্ত হলেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানান বেলায়েত হোসেন মামুন।
সারাবাংলা/আরএসও/পিএম