‘দেশের ৮৭ ভাগ মানুষ নিরাপদ পানির আওতাভুক্ত’
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৮:১৮
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
সংসদ ভবন থেকে: বর্তমানে দেশের ৮৭ ভাগ মানুষ নিরাপদ পানি ব্যবহার করে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, সে হিসেবে দেশের মোট ১৩ কোটি ৯২ লাখ জনগণ নিরাপদ পানির সুবিধা ভোগ করে।
মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সংসদ অধিবেশনে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. আনোয়ারুল আজীম (আনার)-এর তারকা চিহ্নিত ৫৮৫ নম্বর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদে এসব তথ্য জানান। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
মন্ত্রী বলেন, সারা দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহের জন্য পল্লী অঞ্চলে পানি সরবরাহ প্রকল্প শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলায় ২২৯টি স্থাপনের সংস্থান রয়েছে। এরমধ্যে ১৬৫টি নলকূপ স্থাপিত হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ৩২টি অগভীর নলকূপ স্থাপনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে শতকরা ৯৯ ভাগ জনগণ মৌলিক স্যানিটেশনের অর্ন্তভুক্ত। এর মধ্যে ৬১ ভাগ জনগণ উন্নত ল্যাট্রিন সুবিধার আওতাভুক্ত রয়েছে। অবশিষ্ট ২৮ ভাগ জনগণ যৌথ ল্যাট্রিন ব্যবহার করেন।’
চট্টগ্রাম ১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদে জানান, দেশব্যাপী বিটুমিনের পরিবর্তে কনক্রিটের সড়ক নির্মানের ক্ষেত্রে কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। কনক্রিটের রাস্তা নির্মাণের ক্ষেত্রে কনক্রিট ঢালাইয়ের পরে কিউরিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত সময়ের প্রয়োজন এবং ওই সময়ের রাস্তায় যানবহন চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। এছাড়া প্রতি কিলোমিটার কনক্রিটের রাস্তা নির্মাণ খরচ বিটুমিনাস রাস্তা নির্মাণের খরচের চেয়ে দুই দশমিক দুই থেকে আড়াই গুণ বেশি। এছাড়া পর্যাপ্ত নির্মাণ যন্ত্রপাতির অভাবও রয়েছে। ফলে বিষয়টি এখনও পরীক্ষাধীন।
মন্ত্রী বলেন, দেশের হাওড়/নিচু এলাকায় যেসকল সড়ক বন্যার পানিতে ডুবে যেতে পারে সে সকল রাস্তায় সাবমার্সিবল রিজিড পেভমেট (submersible rigid pavemet) নির্মাণ করা হচ্ছে, যা বর্ষাকালে ডুবে থাকলেও শুষ্ক মৌসুমে সড়ক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া বাজার এলাকায় ফ্লেক্সিবল পেভমেট (Flexible pavement) এর যে অংশ দ্রুত পানি নিষ্কাশনের সুবিধার অভাবে নষ্ট হয়, মেরামতের সময় সড়কের সে অংশে রিজিড পেভমেট (rigid pavemet) নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এসএমএন