পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বেন বার্নি স্যান্ডার্স
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২২:৪৭
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
২০২০ সালে অনুষ্ঠেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে চলেছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ভারমন্ট অঙ্গরাজ্যের ভারমন্ট পাবলিক রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাতকারে ঘোষণা দেন ৭৭ বছর বয়সি রাজনীতিবিদ।
সিনেটর বলেন, আমি দু’টি কারণে প্রেসিডেন্ট পদে লড়বো। কারণ দু’টি হচ্ছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরোধীতা করা ও আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে, ২০১৬ স্যান্ডার্স স্বাস্থ্যসেবা ও সর্বনিম্ন মজিরু ১৫ ডলার করার ক্ষেত্রে হয়েছিলেন সেটা প্রমাণ করা।
এদিকে, তার এই ঘোষণার পরপরই ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় তার নারী কর্মীদের ওপর পুরুষ কর্মীদের যৌন হামলার অভিযোগ ওঠছে। বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের নির্বাচনি প্রচারণার সময় তাদের ওপর এসব হয়রানি ও নির্যাতন চালানো হয়েছে। খবর বিবিসির।
উত্থাপিত অভিযোগ নিয়ে দ্ব্যর্থবোধক ক্ষমা চেয়েছেন স্যান্ডার্স। বলেছেন। ১০ জানুয়ারি করা এসব অসব অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, তারা যেসব অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছে তা অগ্রহণযোগ্য। নিশ্চিতভাবেই সেটা কোন অগ্রগতিমূলক প্রচারণা নয় এবং কোন প্রচারণাই এমন হওয়া উচিত নয়।
স্যান্ডার্স বলেন, এই দেশের সকল কর্মজীবী ও ভবিষ্যৎ কর্মজীবী নারীদেরই এমন একটি পরিবেশ প্রাপ্য যেটি হয়রানি-মুক্ত, নিরাপদ ও স্বস্তি-দায়ক। আমি তেমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
তিনি বলেন আমি মনে করি বর্তমান মার্কিন প্রশাসন আমাদের দেশের জন্য একটি লজ্জা। আমার মনে হয় তিনি (ট্রাম্প) একজন জন্মগত মিথ্যুক। আমার আরও মনে হয়, তিনি একজন জাতিবিদ্বেষি, সেক্সিস্ট, সমকামিতা বিরোধী, বিদেশিভীতিপূর্ণ মানুষ। তিনিও সস্তা রাজনৈতিক ইস্যু ব্যবহার করে সংখ্যাগরিষ্ঠদের টার্গেট করছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নথিপত্রহীন অভিবাসীদের।
মঙ্গলবার ইমেইলে পাঠানো এক বার্তায় স্যান্ডার্স বলেন, এ বিষয়ে তৃনমূল পর্যায় থেকে আন্দোলন গড়া উচিত। বিশেষ রাজনৈতিক স্বার্থ যেসব যেসব স্বার্থ সরকার ও এর নীতিমালাকে প্রভাবিত করে সেসবের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা উচিত।
ঘোষিত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বলেন, আমাদের প্রচারণার বিষয় হচ্ছে, দেশটিকে রূপান্তরিত করা ও অর্থনৈতিক, সামাজিক, জাতিগত ও পরিবেশ বিষয়ক বিচার প্রতিষ্ঠা করা।
সারাবাংলা/ আরএ