Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাজ্জাকের ক্ষমা চাওয়ার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ ড. কামালের


২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:২৬

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করায় জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল পদ থেকে ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মতিঝিলে নিজ চেম্বারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের বিরোধিতা করায় জামায়াতের ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দিয়ে আবদুর রাজ্জাকের দলছাড়ার বিষয়ে ড. কামাল বলেন, ‘ক্ষমা চাওয়ার বিষয়কে আমি স্বাগত জানাই।’

ক্ষমা চাওয়াকে যথেষ্ট মনে করছেন কি না– এমন এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, ‘আমি মনে করি না এটা যথেষ্ট। মাত্র একজন নেতা ক্ষমা চাওয়া কথা বলেছেন। তাদের ক্ষমা চাওয়া হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নেওয়ার প্রথম পদক্ষেপ। কিন্তু ক্ষমা চাওয়ার মাধ্যমে সব কিছু মাফ হয়ে যায় না।’

গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট ডাকাতির অভিযোগ এনে গণশুনানি কর্মসূচি ঘোষণা করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি এই গণশুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কর্মসূচি দুই দিন এগিয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফ্রন্টের নেতারা। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে এই বৈঠক ডাকা হয়।

গণশুনানির তারিখ পরিবর্তন করার কারণ সম্পর্কে ড. কামাল হোসেন কোথাও জায়গা না পাওয়া যাওয়ার কথা জানান। তিনি বলেন, জায়গা না পাওয়ার কারণে দুই দিন এগিয়ে এনে আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

গণশুনানির সময়সূচির ব্যাপারে জানিয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, সকাল ১০টায় শুরু হয়ে গণশুনানিতে ১টা বাজে নামাজ ও খাবারের বিরতি দেওয়া হবে। এরপর আবার ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত তা চলবে।

জামায়াতের প্রার্থী শুনানিতে থাকবে কি না, জানতে চাইলে তিনি সে ব্যাপারে নিজের না জানার কথা বলেন।

জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ঐক্যফ্রন্টের সব প্রার্থী ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের দলগুলোকে দাওয়াত দেওয়া হবে। জামায়াত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেহেতু তারা ঐক্যফ্রন্টে নেই, তাই এই প্রশ্ন অবান্তর। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীদের ব্যাপারেও তিনি সেই ব্যাপারে উনাদের চিন্তাভাবনা করার কথা জানান।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রেসক্লাব, মহানগর নাট্যমঞ্চ, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন কোথাও জায়গা পাওয়া যায়নি। এটা একটা শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা। তাই তারিখ এগিয়ে আনতে আমরা বাধ্য হয়েছি।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরীসহ অন্যরা।।

সারাবাংলা/এজেড/এসবি

ঐক্যফ্রন্ট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জামায়াতে ইসলামী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর