Thursday 17 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

খালেদা জিয়া ঘুমিয়ে, নাইকো মামলার চার্জ শুনানি পেছাল


২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৪:৩৯ | আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৪:৪৬
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

খালেদা জিয়া (ফাইল ছবি)

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় নাইকো দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানি পিছিয়েছে। কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, খালেদা জিয়া ঘুমিয়ে থাকায় আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি। আর খালেদা জিয়ার আইনজীবী বলছেন, অসুস্থতার কারণে ঘুম থেকে উঠতে পারেননি তিনি। সে কারণে জেল কোড অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দিতে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। পরে আগামী ৩ মার্চ এই মামলার চার্জ শুনানির নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন বিচারক।

বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) নাইকো দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানির জন্য দিন নির্ধারিত ছিল। এদিন খালেদা জিয়াকে উপস্থিত করার কথাও ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত হননি।

বিজ্ঞাপন

শুনানির শুরুতেই খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, গত ১২ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে উচ্চ আদালতের আদেশ দাখিল করার কথা থাকলেও ওই দিন তা দাখিল করতে পারেননি। দুই দিন পরে সেই আদেশ আদালতে দাখিল করা হয়েছে। খালেদা জিয়া অসুস্থতার কারণে আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি।

এরপর বিচারক কারা কর্তৃপক্ষের কাছে খালেদা জিয়াকে উপস্থিত করতে না পারার কারণ জানতে চান। কারা কর্তৃপক্ষ জানান, খালেদা জিয়া ঘুম থেকে ওঠেননি। সে কারণে তাকে আদালতে উপস্থিত করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কাছে জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, আদালত জেলকোড আইনের বাইরে যেতে পারে না। জেল কোড অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারেন।

পরে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিষয়ে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ, সেটা সবাই জানেন। সুস্থ থাকলে কেউ হুইল চেয়ারে করে আদারতে আসবেন না, কোনো সুস্থ মানুষ দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঘুমান না। এখানে বুঝতে হবে, খালেদা জিয়ার অসুস্থতা গুরুতর। যে কারণে তিনি আদালতে আসেনি।

ব্যারিস্টার মওদুদের এ বক্তব্যের বিপরীতে পাবলিক প্রসিকিউশন মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, কারা কর্তৃপক্ষ বলেছে, ,উনার (খালেদা জিয়া) ঘুম ভাঙেনি, তাই আদালতে হাজির করা হয়নি। অসুস্থতার কথা একবারও বলা হয়নি।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক বলেন, যেহেতু আসামির অনুপস্থিতে চার্জ শুনানি করা যায় না, সে কারণে এ মামলার পরবর্তী চার্জ শুনানির জন্য আগামী ৩ মার্চ দিন নির্ধারণ করেন। একইসঙ্গে চিকিৎসার বিষয়ে আদেশ পরে দেওয়া হবে বলে জানান বিচারক।

নাইকো দুর্নীতি মামলার প্রধান আসামিরা হলেন— বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন।

এই মামলার তিন জন আসামি পলাতক। এরা হলেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহা-ব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

গত বছরের ৫ মে এই মামলায় অভিযুক্ত আরেক আসামি সাবেক সচিব শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় তার নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। এর আগে, ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতে খালেদা জিয়াসহ মামলার ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন জানান।

কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। পরের বছর ৫ মে ওই মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান। অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭ শ ৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

সারাবাংলা/এআই/টিআর

খালেদা জিয়া নাইকো দুর্নীতি মামলা নাইকো মামলা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর