মানবসম্পদ উন্নয়নসহ একাধিক খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী অস্ট্রিয়া
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৫:৪০
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বাংলাদেশে টেক্সটাইল শিল্প, ওধুষ, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নসহ একাধিক খাতে বিনেয়াগ করতে চান অস্ট্রিয়ার ব্যবসায়ীরা। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা-ভিয়েনা’র মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তারা এই আগ্রহের কথা জানান।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ঢাকার পক্ষে ও অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারিন কেনেসি ভিয়েনার পক্ষে নেতৃত্ব দেন।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা খুবই আনন্দিত যে অস্ট্রিয়ান মন্ত্রী একটি বড় প্রতিনিধি দল নিয়ে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। তার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অনেক বিষয় আলোচনা করেছি, যেন প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা করা উন্নয়নের রোডম্যাপ অর্জন করতে পারি। আমরা যেন ২০২১ সালে মধ্যআয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালে সোনার বাংলা গড়তে পারি। সে জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়ানো প্রয়োজন। এই বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কীভাবে বাড়ানো যায়, অস্ট্রিয়া আমাদের বহু আগের বন্ধুপ্রতিম দেশ, অস্ট্রিয়া আমাদের সাহায্য করতে এসেছেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ঢাকা-ভিয়েনা সরাসরি বিমান সেবা চালু করার প্রস্তাব দিয়েছি। এর বাইরে আমরা শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়ন, বিদ্যুৎ উৎপাদন বিষয়ে তাদের সহায়তা চেয়েছি। তারা রাজি হয়েছেন যে, আমাদের এইসব বিষয়ে সহযোগিতা করবেন।’
আরও পড়ুন: সকালে আসছেন অস্ট্রিয়ার মন্ত্রী
ঢাকা-ভিয়েনা বিমানসেবা প্রসঙ্গে অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারিন কেনেসি বলেন, ‘ভিয়েনার সঙ্গে ঢাকা বিমানসেবা চালুর যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা চূড়ান্ত পর্যায়ে, যে কোনো সময় স্বাক্ষর করা হতে পারে।’
অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারিন কেনেসি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ডিজিটালাইশনের যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তা তার প্রজ্ঞার ফসল। ডিজিটালাইজেশনের এই উদ্যোগ অর্থনীতির যাত্রাকে নতুন মাত্রায় পৌঁছে দেবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অস্ট্রিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের ওধুষ, দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়ন, শিল্পস্থাপনসহ একাধিক খাতে বিনিয়োগ করতে চায়।’
রোহিঙ্গা ইস্যূতে অস্ট্রিয়ার অবস্থান ইউরোপিয় ইউনিয়নের মতোই উল্লেখ করে কারিন কেনেসি বলেন, ‘এই সঙ্কট কাটাতে আমরা অর্ধেক মিলিয়ন ইউরো মানবিক সহায়তা হিসেবে দিচ্ছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে অস্ট্রিয়ার মন্ত্রী কারিন কেনেসি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশে আসার আগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সম্পর্কে পড়াশোনা করেছি। বিশেষ করে, বাংলা ভাষার ইতিহাস ও যারা এই ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে, তাদের সম্পর্কে। আমাকে এই বিষয়ে ভিয়েনার বাংলাদেশ মিশন থেকে একটি বই দেওয়া হয়েছে। ’ এর বাইরেও তিনি ইন্টারনেট থেকে এই বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন বলেও জানান কেনেসি।
সারাবাংলা/জেআইএল/এমএনএইচ